মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: বেনাপোলে একাধিক পরকীয়া প্রেমের নায়িকা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য বিদেশ থেকে আসা স্বামী জামাল হোসেনকে (৩৬) দেশে আসার মাত্র ১০ ঘন্টা পর প্রেমিকদের সহযোগিতায় কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতর পরিবার। বুধবার নিজ বাড়ির বেড রুমে স্ত্রী আয়েশা তার স্বামীকে কতিথ প্রেমিক ও নিজ বাবা মায়ের সহযোগিতায় হত্যা করে। এঘটনায় তাৎক্ষনিক পুলিশ আয়েশার মা-বাবা সহ তিনজনকে আটক করেছে।
নিহত জামাল হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে।আটককৃতরা হলো- নিহত জামালের স্ত্রী আয়েশা খাতুন, শশুর রিয়াজুল ইসলাম টুক,ও শাশুড়ী ফুলবুড়ি।
নিহতর বাবা হবিবার রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে প্রায় ১৫ বছর যাবৎ মালায়েশীয়া থাকে।একই গ্রামের রিয়াজুলের মেয়ে আয়েশার সাথে তার প্রায় ১৫ বছর বিবাহ হয়। আর বিগত এই ১৫ বছরে তার ছেলে মালায়েশীয়া থেকে মাত্র ৩ বার বাড়ি এসেছে। তার বাড়ি না থাকার কারনে স্ত্রী আয়েশা এলাকার বিভিন্ন ছেলের সাথে প্রেম করত। প্রায় কারো না কারো সাথে সে মোটর সাইকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুই তিন দিন পর বাড়ি ফিরত। তার ছেলের আলাদা করে বাড়ি যে বিল্ডিং তৈরী করেছে সেই বিল্ডিংয়ে আয়েশা ও তার মা বাবা বসবাস করত। ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বাড়ি বেলা ২ টার সময় মালায়েশীয়া থেকে আসে। আর রাত ১২ টার সময় তার বুকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। তবে কার সাথে প্রেম করত তার ছেলের স্ত্রী এ প্রশ্নে তিনি এলাকার লোকের বাধার মুখে নাম বলতে অস্বীকার করে।
স্থানীয়রা জানায়, স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে আয়েশা একাধিক প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে এলাকায়। কেউ তাকে ফোন করে ডাকলে সে মোটরসাইকেল ভাড়া ঘরে দুই তিনদিন একাধারে হারিয়ে যেত। এর আগে যখন তার স্বামী বিদেশ থেকে বাড়ি আসে তখন তাকে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে বলে এলকার জনসাধারন অভিযোগ করেন।এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি ৯ (তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, হত্যার তদন্তের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সাথে আলাপ চলছে কেবা কাহারা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন