ধামইরহাট (নওগাঁ) : নওগাঁর ধামইরহাটে ঘুর্ণিঝড় ফণির আঘাতে ইরি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকা ও আধাপাকা ধান ঝড়ের কারণে মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ধানের ফলন ও ধান কাটতে শ্রমিকের মূল্য দ্বিগুন হওয়ার আশংকায় কৃষকগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, এবার চলতি ইরি বোরো মওসুমে ধামইরহাট উপজেলায় প্রায় ১৬ হাজার ৪শত ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি ধান রোপন করা হয়েছে। গত আমন মওসুমে কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতির মধ্যে ছিলে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার ইরি বোরো ধান বেশি করে রোপন করেছিল। কৃষকগণ জিরাশাইল,ব্রিধান-২৮,২৯,৫০,৫৮,৫৯,৬১,বিনা ১৪,পারিজা এবং হাইব্রিডের মধ্যে তেজগোল্ড,ধানী গোল্ড,হিরা জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। কৃষকগণ শুরু থেকে সঠিকভাবে বীজতলায় চারা গজানো ও ক্ষেতে চারা রোপন করে। পরবর্তীতে ধান গাছের পরির্চ্চা ও সঠিক সার কীটনাশক প্রয়োগ ও পানি সেচ দিয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটান ঝড়ো বৃষ্টি উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ঝড়ে এলাকায় গাছ পালা,বাড়ীঘরের টিনের ছাউনি উড়ে যায়। শেষ মুর্হুতে ধান ঘরে তোলার আগে ঘুর্ণিঝড় ফণির আঘাতে মাঠের অধিকাংশ ধান মাটিতে শুয়ে পড়ে। এব্যাপারে ধামইরহাট পৌরসভার হাটনগর গ্রামের কৃষক ধিরেন পাহান বলেন,ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ার ফলন কিছুটা কম হবে। তাছাড়া জমির পানি ২/১ দিনের মধ্যে বের না হলে অনেক ধান পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তালঝাড়ী গ্রামের কৃষক নিমাই শীল ও গণেশ শীল বলেন,ঘুর্ণিঝড়ের আগে প্রতিমণ ধান কাটতে কামলারা ৫/৬ কেজি ধান নিতো এখন ধানগাছ মাটিতে পড়ে যাওয়ায় প্রতি মণে ১০ কেজি করে দাবী করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.সেলিম রেজা বলেন, ঝড়ের কারণে ধান গাছ মাটিতে পড়ে গেলেও ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ধানের ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে এ উপজেলার ৪ হাজার ২শত হেক্টর জমির জিরাশাইল ধান মাটিতে পড়ে গেছে। কৃষকদেরকে পড়ে যাওয়া ধানগাছগুলো আখ ক্ষেতের মতো ৮/১০ ধানগাছ বেঁধে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে পড়ে যাওয়ায় ধান কাটতে বেশি শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে খরচ বেড়ে যেতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন