ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর ধামইরহাটে দ্বিতীয় দিনের মতো স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এক অসহায় বর্গাচাষীর বোরো ধান কাটা কর্মসূচী চলছে। উপজেলার সর্বত্র এক সাথে সকল ধান পেকে যাওয়ায় কামলা সংকট ও অধিক মজুরী দাবী করায় অনেক কৃষক ধান কাটতে না পারায় অসহায় হয়ে পড়েছে। কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সরকারি কর্মকর্তা,শিক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে।
রবিবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ধামইরহাট পৌরসভার অন্তর্গত ধামইরহাট-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের আমাইতাড়া গ্রামের পশ্চিম মাঠে ওই গ্রামের বর্গাচাষী আব্দুল কুদ্দুসের ধান কর্তন করা হয়। বর্গাচাষী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ১একর ২৫ শতাংশ জমি তিনি বোরো ধান রোপনের জন্য বর্গা নেন। একটি এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে অনেক কষ্ট করে অন্যের জমিতে ইরি ধান রোপন করেন। ধান পাকলেও শ্রমিক সংকট এবং অধিক শ্রমের মূল্য দাবী করায় তিনি ধান কাটতে পারেননি। এমতাবস্থায় তিনি নিজে,অসুস্থ্য স্ত্রী মল্লিকা বেগম,ছেলে মমিনুর ও ছেলের বউ উম্মে খাতুন মিলে ধান কাটতে শুরু করেন। পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজা,স্থানীয় চকময়রাম সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এস,এম খেলাল-ই-রব্বানী,গণমাধ্যমকর্মী হারুন আল রশীদ,দেখাবো আলোর পথের সভাপতি মেহেদী হাসান,মানবসেবা সংগঠনের সভাপতি রাসেল মাহমুদ,প্রাণের হাসির সহসভাপতি আবু সাঈদ,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাইনুর ইসলামসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা এ কাজে ঝাপিয়ে পড়ে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, এ উপজেলায় ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭ থেকে ১০টা পর্যন্ত এ কর্মসূূচী চলবে। এলাকার সুধী মহল এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এলাকায় কৃষকগণ দাবী করেন সহজ শর্তে ও স্বল্পমূল্যে কৃষকদের কৃষি যান্ত্রিক ধান কাটার মেশিন প্রদানের জোর দাবী জানান। উল্লেখ্য এবার ধামইরহাট উপজেলায় ১৬ হাজার ৪শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়। অধিকাংশ ধান পাকলেও শ্রমিক সংকট ও ধানের দাম না থাকায কৃষকগণ ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ায় ধান কাটতে পারছে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন