সাপাহার(নওগাঁ)প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে ঘাতক ভাগিনার শাবলের আঘাতে মামা ফয়েজ উদ্দীন (৫৫) নামের এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার মুল হোতা ঘাতক ভাগিনা পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার খেড়–ন্দা গ্রামের তমিজ উদ্দীন ওরফে উত্তরার ছেলে বাবলু (৩২) গত ২২ মে রাতে গরু বিক্রির টাকা নিয়ে বৃদ্ধ বাবা ও মায়ের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়ে এ সময় সে তার বাবা ও মায়ের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এই ঘটনার পরদিন গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবলুর মেজ মামা উপজেলার শিতল ডাংগা গ্রামের বাসিন্দা ফয়েজ উদ্দীন খেড়–ন্দা গ্রামে তার বোনের বাড়ি এসে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার উদ্যোগ নেয়। বৃদ্ধ মা ও বাবা কে অন্যায় ভাবে মারধর করায় মামা ফয়েজ উদ্দীন ভাগিনা বাবলুকে গালমন্দ ও শাসন গর্জন করে। এতে ভাগিনা বাবলু ক্ষিপ্ত হয়ে তার ঘর থেকে একটি লোহার শাবল এনে মামা ফয়েজ উদ্দীনের মাথায় প্রচন্ড জোরে আঘাত করে। ভাগিনার শাবলের আঘাতে মামা ফয়েজ উদ্দীনের মাথা ফেটে যায়। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিক আশংকাজনক অবস্থায় ফয়েজ উদ্দীন কে চিকিৎসার জন্য সাপাহার উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে ভর্তি অবস্থায় তার শারীরীক অবস্থা আরো সংকটাপন্ন হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরী রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৬ মে রোববার রাতে ফয়েজ উদ্দীনের মৃত্যু হয়। এ দিকে এই হত্যা কান্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ভাবে ধামা চাপা দিয়ে নিহত ফয়েজ উদ্দীনের লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়িতে আনা হয়। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির যোগ সাজসে কতিথ ঘরোয়া ভাবে হত্যার ঘটনা আপোষ মিমাংসা করে পারিবারিক ভাবে লাশ দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। সংবাদ পেয়ে সাপাহার থানা পুলিশ শিতলডাঙ্গা গ্রামে পৌছে নিহত ফয়েজ উদ্দীনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.