নওগাঁ প্রতিনিধি: ট্রেনের যাত্রাবিরতীর দাবীতে ট্রেন অবরোধে অচল উত্তরবঙ্গের সকল জেলা। নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট এই ৩জেলার মোহনায় অবস্থিত দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রেলওয়ে জংশন স্টেশন সান্তাহার। সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতী আছে এই স্টেশনে।
পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর নতুন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতীর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন অত্র অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। ৫দিনের কর্মসূচির মধ্যে সোমবার ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে আগত সকল ট্রেনকে অবরোধ করে রাখা হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। ট্রেনের যাত্রা বিরতী বাস্তবায়ন কমিটির আন্দোলনের কর্মসূচীর মধ্যে এদিন ঢাকাগামী পঞ্চগড় থেকে আন্তঃনগর দ্রুতযান ট্রেন সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে এসে পৌছলে অবরোধকারীরা ট্রেনটি প্রায় ১ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। এসময় ট্রেনটির বিলম্ব আর প্রচন্ডতাপদাহে তাপে যাত্রী সাধারনকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
দাবি বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম চম্পা বলেন এ দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে সান্তাহার জংশন ষ্টেশনের ওপর দিয়ে কোন ট্রেন চলতে দেওয়া হবে না। এই স্টেশনটি ১৫০শত বছরের পুরনো একটি ঐতিহ্যবাহী স্টেশন। এই স্টেশনে উত্তরবঙ্গে চলাচলরত সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতী আছে। কিন্তু রেলমন্ত্রী নতুন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতী অন্যান্য স্টেশনে দিলেও সান্তাহারে যাত্রাবিরতী দেওয়া হয় নাই। যে যাত্রা বিরতী ছিলো এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের প্রাণের দাবী কিন্তু রেলমন্ত্রী সেই দাবী ও অধিকারকে খর্ব করেছে। আমাদের এই দাবী না মানা পর্যন্ত আমরা রেলকে অচল করে দিবো।
সান্তাহার পৌর সভার প্যানেল মেয়র জার্জিস আলম রতন বলেন নতুন ট্রেনের যাত্রা বিরতী না দেওয়া মানেই এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে অবহেলা করা। দিন দিন এই সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনের রাজস্ব বৃদ্ধি পেলেও চরম অবহেলিত এই স্টেশনটি। এই স্টেশনের ইতিহাস আমরা বইয়ে পড়েছি। কিন্তু নতুন ট্রেনের যাত্রা বিরতী না দিয়ে রেলমন্ত্রী আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে অপমান করেছেন। আমরা এর সুষ্ঠ সমাধান চাই। যদি রেলমন্ত্রী আমাদের সান্তাহারে নতুন ট্রেনের যাত্রাবিরতী ও প্রয়োজন সংখ্যক আসন বরাদ্দ না দেন তাহলে আমরা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে বাধ্য হবো।
আগামী ২৫ মে থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি পঞ্চগড় ঢাকার মধ্যে চলাচল করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটির উদ্ভোধন করবেন। পঞ্চগড় থেকে ট্রেনটি যাত্রা করে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও পার্বর্তীপুর যাত্রাবিরতি দিয়ে ঢাকায় পৌছাবে। নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট এই জেলার মোহনায় অবস্থিত প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জন গুরত্বপূর্ন জংশন ষ্টেশন হওয়া শর্ত্বেও সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে যাত্রাবিরতি না দেয়ায় পঞ্চগড় ট্রেন যাত্রাবিরতি বাস্তবায়ন কমিটি প্রায় ৫দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। তাদের দাবী পূরণ করা না হলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী প্রদান করেন কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন