নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পান্তা-ইলিশ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় শহরের জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ উৎসবের আয়োজন করে স্থানীয় কবি ও লেখকদের নিয়ে গঠিত ‘নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন। সকালে জনকল্যাণ মহল্লার পশ্চিম পার্শ্ব কবি হুমায়ন বটমুল প্রাঙ্গন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে শেষ। পরে সেখানে প্রায় দুই শতাধিক সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পান্তা-ইলিশের সাথে আলু ভত্তা, আলু ঘাটি, কাঁচা মরিচ ও পিয়াজ উৎসব করা হয়। এসময় শিশুদের হাতে হাতে একটি করে খেলনা ও বাঁশি উপহার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, কবি ও গবেষক আতাউল হক সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আর্মি ইউনির্ভাসিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান কবি প্রত্যয় হামীদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন নওগাঁর সভাপতি অ্যাড. শহীদ হাসান সিদ্দিকী স্বপন, সাধারন সম্পাদক আজাদ হোসেন মুরাদ, বৈশাখী টেলিভিশনের নওগাঁ প্রতিনিধি এবাদুল হক, সাংবাদিক রিফাত হোসাইন সবুজ ও আব্দুল মান্নান, সমাজসেবী মৌসুমি সুলতানা শান্ত, সংগঠনের আহবায়ক আশরাফুল নয়ন, সদস্য সচিব অনিন্দ্য তুহিন, কবি অরিন্দম মাহমুদ, কবি মারিয়া আজাদ সহ সামাজিক সংগঠন ও সচেতনরা।
সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের অভিভাবকার বলেন, বৈশাখ আসে বৈশাখ যায়। আর বৈশাখের আনন্দ আমাদের অসম্পন্ন থেকে যায়। পান্তা আমাদের নিয়মিত খাবার। কিন্তু ইলিশ মাছ যেন স্বপ্নের মাছ। পহেলা বৈশাখ বিশেষ দিন হলেও আমাদের কপালে বা সন্তানদের মুখে ইলিশ মাছ উঠে না। আর বৈশাখের পরবর্তী সময়ে আনন্দ দিতে ‘নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ’ সংগঠনটি আমাদের সন্তানদের নিয়ে পান্তা-ইলিশের আয়োজন করেছে। যা খেয়ে আমাদের সন্তান খুবই আনন্দিত। আগে কখনেই এমন আয়োজন হয়নি। এছাড়া বাচ্চাদের খেলনা ও বাঁিশ উপহার দেয়া হয়েছে।
নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক আশরাফুল নয়ন বলেন, পান্তা-ইলিশ বাঙালীর একটি ঐতিহ্য। পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন স্থানে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। কিন্তু নি¤œবৃত্ত পরিবার বা তৃনমূল পর্যায়ের শিশুরা এসব আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। বাজারে ইলিশের যে দাম তা তাদের পক্ষে কেনা বা খাওয়া সম্ভব হয়না। আর তাদেরকে একবেলা খাওয়ানোর জন্য মূলত আমাদের এ আয়োজন। সমাজের যেসব বৃত্তবানরা আছেন তারা যেন এটা দেখে উদ্বৃদ্ধ হতে পারেন। যেন নিজেদের ঘরে ঘরে বৈশাখের উৎসব পালন না করে সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক আশরাফুল নয়ন বলেন, পান্তা-ইলিশ বাঙালীর একটি ঐতিহ্য। পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন স্থানে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। কিন্তু নি¤œবৃত্ত পরিবার বা তৃনমূল পর্যায়ের শিশুরা এসব আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। বাজারে ইলিশের যে দাম তা তাদের পক্ষে কেনা বা খাওয়া সম্ভব হয়না। আর তাদেরকে একবেলা খাওয়ানোর জন্য মূলত আমাদের এ আয়োজন। সমাজের যেসব বৃত্তবানরা আছেন তারা যেন এটা দেখে উদ্বৃদ্ধ হতে পারেন। যেন নিজেদের ঘরে ঘরে বৈশাখের উৎসব পালন না করে সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের সদস্য সচিব অনিন্দ্য তুহিন বলেন, আমাদের এ সংগঠনটি শুধু সাহিত্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পাশপাশি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কাজ করা হয়ে থাকে। আর এরই অংশ হিসেবে বৈশাখের পরবর্তী সময়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পান্তা-ইলিশ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা আগামীতে আরো বড় পরিসরে আয়োজন করার চেষ্টা করব।
নওগাঁ সরকারি কলেজ সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের দেশে পান্তা খাওয়ার প্রচলন প্রাচীন থেকে। বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষরা সকালে পান্তা খেয়ে কাটাতাম। তবে এক সাথে এতগুলো সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পান্তা-ইলিশ, আলুর ভত্তা খাওয়ার আলাদা যে আমেজ ও আনন্দ তা বুঝতে পারলাম। এমন আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানাই এ সংগঠনকে।
নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শহর কেন্দ্রীক যেসব অনুষ্ঠান হয়ে থাকে সেখানে সাধারনত সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা যেতে পারেনা। এসব আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় হতদরিদ্র পরিবারে সন্তানরা। আর সুবিধা বঞ্চিত এসব শিশুদের মুখে একটু হাঁসি ফুটাতেই এমন ব্যক্তিক্রম উদ্যোগ নেয়ায় সংগঠনের আয়োজকদের ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন