ঢাকা ১৭ এপ্রিল ২০১৯: আর কোন সাংবাদিকের দিকে আঙ্গুল তুলে তাকালে তার হাত ভেঙ্গে দেয়া হবে। সন্ত্রাসীরা যত বড় ও শক্তিশালী হোকনা কেন সাংবাদিকরা রাস্তায় নামলে কোন সন্ত্রাসির হাত-পা থাকবেনা। সাংবাদিক নির্যাতন এখনি বন্ধ করুন। সাংবাদিক নির্যাতনকারী যেই হোক কাউকে ক্ষমা করা হবেনা। সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করতে সরকারকে সাংবাদিক সুরক্ষায় যুগোপযোগি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর। তিনি বুধবার দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিএমএসএফ ঢাকা জেলা কমিটির আয়োজনে সাংবাদিক নির্যাতন বিরোধী মানববন্ধন সমাবেশে এ কথা বলেছেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহেশখালীর পৌর মেয়র মকছুদ উল্লাহ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক সালামত উল্লাহ। বিএমএসএফ ঢাকা জেলার সহ-ভাপতি অহিদুজ্জামান মোল্লার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্টাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী সুরক্ষা কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট রবীন্দ্র নাথ দে, আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জল ভুইয়া, যুগ্ম-সম্পাদক আনিস লিমন, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির নেওয়াজ, আমেনা ইসলাম, মানবাধিকার সম্পাদক মোনালিসা মৌ, উপ-প্রচার সম্পাদক কৌশিক আহম্মেদ সোহাগ, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল ইসলাম হাওলাদার প্রমুখ।
সমাবেশে মহেশখালী মেয়র কর্তৃক নির্যাতিত সাংবাদিক সালামত উল্লাহ কান্নাজড়িত কন্ঠে বক্তব্যকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সাংবাদিক নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন। বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তিনি জানান, প্রায় ৩ বছর ধরে সাংবাদিক ও কাউন্সিলর সালামত উল্লাহ মহেশখালী পৌরসভার মেয়রের সাথে বিরোধের ফলে কোন ধরনের আর্থিক সহযোগিতা না পেয়ে অর্থের অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছেননা।
সমাবেশ থেকে আরো অভিযোগ করা হয়, ফেনীর নুসরাত হত্যা ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর স্টিম রোলার চালানো হচ্ছে দাবি করে বিএমএসএফ নেতারা বলেন, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সোনাগাজীর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম নিজেকে বাঁচাতে স্থানীয় সাংবাদিকদের হুমকি ও বিএমএসএফ’র স্থানীয় সভাপতিকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। পরদিন স্থানীয় ও ফেনী জেলার সাংবাদিকরা ফুঁসে ওঠলে মানববন্ধনের ডাক দিলে তাকে আদরের ছলে বাসায় নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এদিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সাংবাদিক এসএম আকাশের ওপর মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ৮-৯জন মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এদিকে আজ বুধবার রংপুরের ডিবিসি টেলিভিশনের রিপোর্টার নাজমুল ইসলাম নিশাত ও ফটো সাংবাদিক মহসিন আলীর ওপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়। দিনাজপুরের বীরগঞ্জে একটি প্রতিবেদনকালে একটি সন্ত্রাসীচক্র এই হামলা ঘটানো হয়। সমাবেশ থেকে আগামি ১-৭মে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন