বাবুল আকতার, সাপাহার (নওগাঁ) : উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় একটি বৃহত ছাগলের খামার স্থাপন করেছেন নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদরের সাংবাদিক তছলিম উদ্দীন। দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পুরণ ও চিন্তা ভাবনার ফসল হিসেবে তিনি ৭একর সম্পত্তির উপর তার এই বৃহত আকারে ছাগল ও বাংলাদেশী দুম্বা/গাড়লের খামার স্থাপন করেছেন। সাংবাদিকের অত্যাধুনিক খামারটি হচ্ছে সাপাহার উপজেলা সদর হতে পোরশা রাস্তায় মাত্র ৪কিলোমিটার দুরে বাসুল ডাঙ্গা মোড়ের অদুরে খোদ্রনালী মৌজায় ফাঁকা মাঠের মধ্যে। তিন বছর পূর্বে তিনি ওই সম্পত্তির উপর আম, কলা, লিচু নারিকেল বাগান তৈরী করেছিলেন বর্তমানে সেখানেই তিনি তার বাগানের মধ্যে স্থাপন করেছেন খামারটি। তার খামার ও বাগানে রয়েছে বহু প্রজাতীর আমগাছ, জামগাছ, লিচুগাছ, ভিয়েতনামীয় নারিকেল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং খামারে রয়েছে তোতাপুরী, রাম, বায়ার, ব্লাকব্যাঙ্গলসহ দেশী প্রজাতির নানা ধরনের ছাগল ও বাংলাদেশী দুম্বা বা গাড়ল। বিভিন্ন প্রজাতির ১০০ছাগল ও ১০০গাড়ল দিয়ে তিনি তার খামারটির যাত্রা শুরু করেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে। এছাড়া তার বাগান ও খামারের সাথে রয়েছে বৃহত আকারের একটি পুকুর সেখানেও মিশ্র পদ্ধতিতে চলছে মাছ চাষ এবং হাসের চাষ। সাংবাদিক তছলিম উদ্দীন তার সাংবাদিক পেশার পাশা পাশি বেকার সমস্যা দুরিকরণে বহু দিন ধরে চিন্তা ভাবনা করছিলেন নওগাঁ জেলায় তিনি একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করবেন। অবশেষে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০১৯ সালে তার চিন্তার ফসল বাগান চাষের সাথে সাথে একটি লাভজনক খামার স্থাপন করেছেন। বর্তমানে তার বাগান ও খামারটি দেখাশুনার জন্য ৩জন কর্মচারী নিযুক্ত রয়েছেন। তার চিন্তাভাবনা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে কাজ করে গ্রামালেকার অনেক বেকার লোকের সমস্যা দুর হবে। ওই খামারে অনেকেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে ফলে সেখানে কাজ করে যেমন কিছু মানুষের সমস্যা দুর হবে আবার সেখান থেকে উপার্জনকৃত অর্থ দিয়ে তার অর্থনৈতিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটবে। বর্তমানে এলাকায় অসংখ্য বেকার ছেলে রয়েছে, সকলেই সোনার হরিণ নামক চাকুরীর পিছনে ছুটছেন। তার মতে শিক্ষিত যুবকেরা এই পেশায় এগিয়ে এলে যেমন বেকার সমস্যা দুর হবে তেমনই দেশে মাংসের চাহিদা পুরন ও একটু হলেও দেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাবে। এছাড়া এলাকার অনেক লোকের আতœকর্মসংস্থানের পথও সুগম হবে। নিজের কাজ নিজহাতে করার আনন্দই আলাদা তাই আনন্দ চিত্তে দেশের বেকার যুবকরা এই পেশায় এগিয়ে এসে বেকার সমস্যাকে অনেকাংশে দুর করতে পারেন বলে তিনি তার মত প্রকাশ করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন