নওগাঁর বদলগাছীতে তিন বছর পূর্বে নির্মিত কালভার্টটি জন সাধারনের কোন উপকারে আসছে না

নওগাঁর বদলগাছীতে তিন বছর পূর্বে নির্মিত কালভার্টটি জন সাধারনের কোন উপকারে আসছে না
হাফিজার রহমান, বদলগাছী (নওগাঁ) সংবাদদাতা: নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের উত্তর পারিচা গ্রামের খলিফার ঘাটের নিকট খালের উপর নীতিমালা বহির্ভূতভাবে তিন বছর পূর্বে নির্মিত কালভার্টটি জন সাধারনের কোন উপকারে আসছেনা বলে এলাকাবাসীর ভ্যাসে জানা যায়। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ  রাস্তায় সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৬শত সাত টাকার বিপরীতে আধাইপুর হতে ভান্ডারপুর যাওয়ার রাস্তায় খলিফার ঘাটের নিকট ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্য কালভার্ট নির্মাণ কল্পে বদলগাছী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকল্পটি গ্রহন করে ঠিকাদার দ্বারা বাস্তবায়ন করা হয়। অথচ বদলগাছী-আক্কেলপুর পাকা সড়কের উত্তরে আধাইপুর গ্রাম থেকে ৩ কি: মি: দক্ষিণ-পুর্বে উত্তর পাারিচা গ্রামে খলিফার ঘাটটি অবসিস্থত। ১৩-০৪-২০১৬ ইং তারিখে লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত করার পর কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয় এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের নভেম্বর ২০০৯ এর বাস্তবায়ন পরিপত্র অনুযায়ী উপজেলার আওতাধীন গ্রামীণ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সম্পূর্ণ অংশ যান বাহন চলাচলের নিমিত্তে গ্যাপ সংযোগে ১২ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করিতে হইবে। যাহা জাতীয় সড়ক নেটওয়ার্কের সহিত সংযোগ স্থাপন বিষয়টি অগ্রাধীকার দিতে হইবে এবং লক্ষ্য রাখিতে হইবে সেতু/কালভার্ট সমূহ যেন ব্যক্তি স্বার্থে নির্মাণ করা না হয়। এছাড়াও রাস্তায় প্রতিদিন কি ধরনের যান বাহন চলাচল করে এবং কোনটির কতটি সংখ্যা তা উল্লেখপূর্বক প্রকল্প বরাদ্দ ও অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। সরেজমিনে তদন্ত কালে উত্তর পারিচা গ্রামের খলিফার ছেলে মো: আলমগীরসহ এলাকাবাসী জানায়, উক্ত নির্মিত কালভার্টটি উত্তর-পূর্বে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মালিকানাধীণ ফসলি জমি। জমির মালিকেরা বহুপুর্ব হইতে তাদের জমির ধার দিয়ে পায়ে হেঁটে মাঠে যাতায়াতের জন্য সরু রাস্তা দিয়েছে। যা দ্বারা কিছু জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকে। তবে কোলা ইউনিয়নের আক্কেলপুর গ্রাম থেকে পশ্চিমে ঐ গ্রামের আজিমুদ্দিনের জমির পূর্ব সীমানা পর্যন্ত সরকারি রাস্তা আছে। কিন্তু এরপর হতে পশ্চিমে কালভার্টে যাওয়ার জন্য কোন সরকারি রাস্তা নেই আছে শুধু দুইধারে ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি। কালভার্টটির উভয় পার্শ্বে যানবাহন চলাচল করার মতো কোন সরকারি রাস্তা না থাকায় নির্মিত কালভার্টটি তিন বছর যাবৎ জনগনের কোন উপকারে আসছে না। এছাড়া তারা বলেন, কালভার্টটির ৫শ গজ পশ্চিমে উত্তর পারিচা থেকে ভান্ডারপুর যাওয়ার রাস্তায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম মাস্টারের বাড়ির নিকট খালের উপর ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬শত ৫৩ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য একটি সেতু একই অর্থ বছরে নির্মাণ করা হয়। যা দ্বারা উত্তর পারিচা গ্রামকাসী ভান্ডারপু যাতায়াত করে থাকে।
 
উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আ: করিম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কালভার্টটির দুইধারে মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরী করা হয়েছিল বন্যায় তা ভেঙ্গে যেতে পারে আমি বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget