রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠিতে
কলেজ ছাত্রী বেনজির জাহান মুক্তা হত্যা কান্ডের নেপথ্যে মোবাইল ফোনে
পরিচয়, প্রেমর সম্পর্ক, অতপর বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় ছাত্রীকে
খুন: স্বীকরোক্তি ঘাতক প্রমিক সোহাগের|
মোবাইল ফোনে
পরিচয়, তারপর প্রেম। এরপর বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় প্রতিশোধ
নিতেই ঝালকাঠির কলেজছাত্রী মুক্তাকে জবাই করে হত্যা করার ঘটনা রহস্য উদঘাটন
করে জেলা পুলিশ। হত্যাকারী অভিযুক্ত সোহাগকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেলে
পুলিশের কাছে সে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছে। শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন
করে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানিয়েছে।
ঝালকাঠি
জেলা পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ঝালকাঠি জেলার ভারপ্রাপ্ত
পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম সোহাগের ভাষ্য দেয়া স্বীকরোক্তির উদৃতি
দিয়ে সম্মেলনে সাংবাদিকরে জানান, সোহাগ ছাড়াও কলেজ ছাত্রী মুক্তার সাথে
আরও কয়েক তরুণের মধ্যে একই সময় প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। এদিকে বিষয়টি
বুঝতে পেরে সোহাগ ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয়। কিন্তু
মুক্তা সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। এ কারনে প্রেমিক খোজ খবর নিয়ে জানতে
পারে তার প্রমিকার আরো একাধিক ছেলের ছাথে সম্পর্ক। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়েই
পূর্ব পরিকল্পনা মত প্রেমিকা বেনজির জাহান মুক্তাকে চাকু দিয়ে জবাই করে
খুন করে পালিয়ে যায় প্রেমিক সোহাগ। প্রমিক সোহাগ জানায়, তাদের প্রেমের
সম্পর্কে গভিররতায় প্রমিকা মুক্তাকে প্রতিমাসেই বেতন তুলে টাকা দিতে এমনকি
মোবাইলসহ নানান পোসাক চাহিদাও মেটাতো সোহাগ।কিন্তু তার সাথে প্রত্যারনা
করায় এ ঘটানার সুত্রপাত বলে দাবী করেন প্রমিক সোহাগ | সোহাগকে আদালতে তোলা
হবে বলেও জানান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রসঙ্গত,
গত সোমবার দুপুরে কলেজ থেকে বাড়ির ফেরার পথে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার
বারইকরণ গ্রামের কাপুড়িয়া বাড়ি এলাকায় ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের
স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বেনজির জাহান মুক্তাকে জবাই করে হত্যা করা
হয়।এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোহাগকে বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া
উপজেলার চাকামইয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে ঝালকাঠি এনেছে পুলিশ।
সোহাগ
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার নিশানবাড়িয়া গ্রামের আবদুস ছোবাহান
মীরার ছেলে। তবে দীর্ঘ দিন ধরে সোহাগ ঢাকায় অবস্থান করে একটি কারখানায়
চাকরি করে আসছিলো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন