আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা: নওগাঁর রাণীনগরে চলতি ইরি মৌসুমের শুরুতেই গভীর নলক’পের পানি সেচের জন্য পানির দাম নির্ধারণ না করায় দ্বিগুণ টাকায় পানি কিনতে হচ্ছে চাষীদের। এতে গভীর নলক’পের আওতায় কৃষকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। অপরদিকে লাভবান হচ্ছে এই গভীর নলক’পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কতিপয় ব্যক্তিরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে জানা যায়, ব্যক্তি মালিকানার গভীর ও মটর এবং ডিজেল চালিত অগভীর নলকূপে নেওয়া হচ্ছে প্রতি বিঘায় ২ হাজার ৫ শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা। অথচ একই মাঠে সমিতির মালিকানাধীন গভীর নলকূপ থেকে পুরো মৌসুমের জন্য প্রতি বিঘায় ১হাজার ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) তাদের আওতাধীন গভীর নলকূপের পানির দাম নির্ধারণ করেছে প্রতি ঘন্টা ১ শ’ ২৫ টাকা অর্থাৎ পুরো মৌসুম মিলে ১ হাজার ২ শ’ ৫০ টাকা। এই সব নলক’পের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নির্ধারিত পানির দাম গোপন করে কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৮শ’ থেকে ২ হাজার ৫ শ’ টাকা গ্রহণ করছে বলে জানা গেছে। প্রতি বিঘায় ৫ শ’ থেকে সাড়ে ১২ শ’ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে জানা যায়, ব্যক্তি মালিকানার গভীর ও মটর এবং ডিজেল চালিত অগভীর নলকূপে নেওয়া হচ্ছে প্রতি বিঘায় ২ হাজার ৫ শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা। অথচ একই মাঠে সমিতির মালিকানাধীন গভীর নলকূপ থেকে পুরো মৌসুমের জন্য প্রতি বিঘায় ১হাজার ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) তাদের আওতাধীন গভীর নলকূপের পানির দাম নির্ধারণ করেছে প্রতি ঘন্টা ১ শ’ ২৫ টাকা অর্থাৎ পুরো মৌসুম মিলে ১ হাজার ২ শ’ ৫০ টাকা। এই সব নলক’পের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নির্ধারিত পানির দাম গোপন করে কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৮শ’ থেকে ২ হাজার ৫ শ’ টাকা গ্রহণ করছে বলে জানা গেছে। প্রতি বিঘায় ৫ শ’ থেকে সাড়ে ১২ শ’ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
গভীর নলক’পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, কৃষকদের কাছ থেকে দ্বিগুণ নয়, ২-৪ শ’ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। কারণ হলো একটি গভীর নলক’পে অপারেটর একজন, ড্রেনম্যান হিসেবে এক জনকে মৌসুম ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হয়। তাদের বেতন, বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়সহ বরেন্দ্র অফিসের একটি নির্ধারিত কার্ড আছে সেই কার্ডে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫ শ’ টাকা করে পুরো মৌসুমে অনেক কয়েক বার রিচার্জ করতে হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০-৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করতে হয়। আবার উঁচু-নিচু জমি ভেদে কম-বেশি করে পানি সেচ দিতে হয়। তাতে নির্ধারিত রেট দিয়ে নলক’প পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। এছাড়াও বড় সমস্যা হচ্ছে সময় মত কৃষকরা পানির দাম দিতে চায় না। তখন আমরা বিভিন্ন ভাবে বিড়ম্বনার শিকার হই।
অফিস সূত্রে জানা, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে মোট ২ হাজার ২ শ’ ৩৬ টি গভীর ও অগভীর নলকূপ থেকে সেচ প্রদান করা হচ্ছে। গভীর নলকূপ রয়েছে ৪ শ’ ০৬ টি, এর মধ্যে ২ শ’ ৬২ টি রয়েছে বিএমডিএর আওতায়। ধান রোপনের জন্য উপজেলার প্রায় সকল জমির প্রস্তুতি শেষের দিকে।
বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রাণীনগর শাখার সহকারি প্রকৌশলী ও উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব মো: তিতুমীর রহমান বলেন, চলতি ইরি মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে পানি সেচের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি মো: আল মামুন বলেন, সরকারি ভাবে পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত পানির দাম নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন