মোঃ
রাসেল ইসলাম, বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি : যশোরের শার্শায় মৌসুমের আকস্মিক
ঝড়-বৃষ্টিতে আম চাষিদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। গত দু'দিনে থেমে থেমে
বৃষ্টিপাতের সাথে ঝড় ও মুসল ধরে শিলা বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ গাছের মুকুল
ঝরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ায় মাথায় হাত উঠেছে এই এলাকার আম চাষিদের।
গত
সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও ঝড় সাথে শিলাবৃষ্টি বুধবার সকাল
পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সাথে হয়েছে বজ্রপাতও। এর সাথে আবার থেমে থেমে হয়েছে
দমকা ঝড় ও বৃষ্টি।
এছাড়া
সারাদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি তো লেগেই ছিলো। এতে করে আমের মুকুলের ব্যাপক
ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আর বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই পুরো উপজেলার এলাকার বিদ্যুৎ
সরবরাহ ত্রুটি দেখা দিয়েছে। যা স্বাভাবিক হতে লাগবে অনেকটা সময়।
এদিকে
শিলাবৃষ্টির আঘাতে শার্শা বাগআঁচড়া, নাভারন, গোগা, কায়বা, উলাশিসহ
পাশ্ববর্তী শংকরপুর অঞ্চলে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।ঝরে পড়েছে গাছ
থেকে প্রচুর পরিমাণে মুকুল। তবে আমের মুকুলের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ
করা না গেলেও এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আম
চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
গত
২ দিনের বৃষ্টি, ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আঘাতে আমের মুকুল ঝরে পড়ায় চরম লোকসান
গুণতে হবে বলে জানালেন স্থানীয় আমচাষী বাবলুর রহমান।তিনি জানান আম গাছে
মুকুল যে পরিমাণ এসেছিল, তাতে অন্যান্য বছরের লোকসান অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া
সম্ভব হতো। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারণে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।
উপজেলা
কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায় গত মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ২৫০হেক্টর জমিতে
আম চাষ হয়েছিল যা এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩৭০ হেক্টর জমিতে।
সূত্র
আরও জানা যায়, শার্শায় গতবারের চেয়ে এবার আমের বাগানের সংখ্যা ছিলো আরও
বেশি। বাগানে আমের মুকুল দেখে খুশিতে মন ভরে গিয়েছিল চাষীদের । মনে অনেক
স্বপ্ন আর বুকভরা আশা জেগেছিল তাদের মনে। কিন্তু অসময়ের শিলাবৃষ্টিতে আমের
মুকুলের সাথে সাথে ঝরে গেছে সেই স্বপ্ন আর আশা।
উপজেলা
কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শৌতম কুমার শীল জানান, শিলাবৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো
বাতাসে আমের মুকুলের পাশাপাশি এই এলাকার কুল, গম, ডাল, সরিষা, নাবিজাতের
আলুর ক্ষতি হয়েছে। তবে এ বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য আশীর্বাদ। শিলা বৃষ্টির
কারণে আমের মুকুল শতকরা ৩০ ভাগ নষ্ট হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন