মাহবুবুজ্জামান সেতু,নওগাঁ : মান্দায় সতিহাটে ধান বিক্রেতাদের সাথে চলছে ডিজিটাল প্রতারনা।
জানামতে, সতিহাটে সপ্তাহে দুদিন ধানসহ অন্যান্য কৃষি পন্য ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে।
বর্তমানে মান্দা উপজেলার একটি সুনামধন্য হাট এই সতিহাট। নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়ক সংলগ্ন হাটটি হওয়ায় এর যোগাযোগ ব্যাবস্থাও অনেক ভালো। প্রতিনিয়ত সতিহাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন পন্য সামগ্রী নিয়ে অাসেন বিক্রেতারা।
মানে ভালো এবং দামে সস্তা হওয়ার কারনে এই হাটে ক্রেতাদের ভীড় থাকে বেশ লক্ষ্যনীয়। অার এই সুযোগে কিছু অসাধু ক্রেতার কারনে সতিহাটের সুনাম নষ্ট হওয়ার উপক্রম হতে চলেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, সতিহাটে কিছু অসাধু ধান ব্যাবসায়ী অাছে যারা ক্রেতা
দের কাছ থেকে ধান কেনার পর ডিজিটাল মেশিনে ওজন করার সময় অভিনব কায়দায় ডিজিটাল প্রতারনার মাধ্যমে প্রতি মণ ধানে প্রায় এক কেজি করে ধান বেশি নিয়ে থাকে।
বাজারে ধানের দাম যাইই হোক না কেনো,অাজ থেকে গত কয়েকবছর অাগে সতিহাটে ধান কেনাবেচা হতো কাঁচি,বাংলা বা পাকি'র ওজন ৩৮ কেজিতে এক মণ।
কিন্তু বর্তমানে অার বাংলা ওজনে ধান বিক্রি হয় না। একেতো ধানের দাম কম,তার মধ্যে অাবার ধানের ওজন বেশি নেওয়া খুবই দু:খজনক।
অত্রবাজার এলাকার অধিকাংশ ধান বিক্রেতা কৃষকরা অশিক্ষিত। চোখ থেকেও যেনো তারা অন্ধ!
অার এই সুযোগে কিছু নামধারী অারৎদারেরা ধান বিক্রেতাদের ঠকিয়ে ধানের ওজন বেশি নিয়ে থাকেন।
শুধু তাই না,ডিজিটাল মিটারে পয়েন্টের হিসেবে ধান ওজন করার সময় কেজির ওজনে দশমিকের ঘরের পরে থাকা অাধা কেজি বা ৭,৮,৯ শ গ্রাম ধানের দাম দেয়া হয় না ধান বিক্রেতাদেরকে।
একসময় ধান বিক্রেতারা ধান বাড়ি থেকে দাঁড়ি পাল্লায় করে ওজন করে নিয়ে অাসতো। পরবর্তিতে ওই প্রাচীন পদ্ধতি বাদ দিয়ে অাধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে ধান ওজন করা কাঁটা ব্যাবহার শুরু হলো।
এর কিছুদিন যেতে না যেতেই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মিটারে ধান কেনাবেচা শুরু হতে লাগলো।যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিতায়
কিছু অারামপ্রিয় ধান বিক্রেতা অাছে যারা বাড়ি থেকে ধান ওজন করে নিয়ে অাসেন না।শুধু তারা ভ্যানঅালাকে ভাড়া দিয়ে ধান বাজারে পাঠিয়ে দেন।
এই সুযোগে বিক্রেতাদের বিংটা, বেভাগা বা অতিরিক্ত ওজনের ধানের দাম দেয়া হয়না।
অাবার টাকার হিসাব করার সময়ও বিংটা বা বেভাগা টাকা যেমন ২,৩,৫,৭ টাকা দেয়া হয় না।অথচ, ধানের খাজনা নেওয়ার সময় কিন্তু ব্যাবসায়ীরা ধান বিক্রেতাদের কাছ থেকে মণ প্রতি ৫ টাকার কম নেয় না।
অাবার, কিছু কিছু ধান ব্যাবসায়ী অাছে যারা বাজার দরের চেয়ে ২,৪,১০,২০ টাকা অতিরিক্ত দামে কেনার প্রলোভন দেখিয়ে ধান ওজনের সময় কারসাজি করে থাকে এবং ধানের দাম না মিটিয়েই ধান চাটিতে ধান ঢেলে নিয়ে টাকা দিতেও কালক্ষেপণ করে থাকে।টাকার দায়ে ধান বিক্রি করে যেমন,হয়রানী-পেরেশানীর শেষ থাকে না।সাধারণ ক্রেতাদের প্রশ্ন অামাদের সাথে এই বৈরিতা কেনো?
প্রতিমণ ধান ক্রয়ের সময় ওজনের চেয়ে বেশি নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সতিহাট জাহিদ ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর, ধানব্যাবসায়ী অাবুল কালাম বলেন অামরা বাজার দরের উপর সবসময়ের জন্য ১০-২০ টাকা বেশি দিয়ে ধান কিনে থাকি।অার তাই অামরা এসব বিংটা ধানের দাম কাওকেই দিই না।বরং অন্যান্য হাটে অামরা প্রতিমণ ধানে এক কেজি অাধা কেজি ধান বেশি নিয়ে থাকি। এটা কোনো ব্যাপার না, অাপনাদের বাড়ির ধান অার অামাদের এটা ব্যাবসা। অাপনারা যদি একটু অাধটু ধান বেশি না দেন তাহলে অামরা চলবো কেমনে? ধানের বস্তার একটা ওজন অাছে না!
অার মিটারে ধান ওজনের ব্যাপারে তিনি কৌশলে জানান যে, ডিজিটাল
অাজ মিটারে চার্জ নেই, একসাথে দুই বস্তা ওজন দেয়া যাবেনা।মূলত: প্রতিবস্তা ধানে ৫,৭,৮,৯শ গ্রাম বেশি নেয়া এটি অস্বাভাবিক কিছু না। মানুষ এমনিতেই দু' এক কেজি ধান বেশি দেয়।
ধান ব্যাবসায়ীদের সাথে প্রতিবাদ করার মতো কোনো ভাষা থাকে না। অার প্রতিবাদ করলেও কোনো উল্লেখযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায় না।
সাধারণ বিক্রেতারা এসব অভিনব প্রতারনা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। যাতে করে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।#
জানামতে, সতিহাটে সপ্তাহে দুদিন ধানসহ অন্যান্য কৃষি পন্য ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে।
বর্তমানে মান্দা উপজেলার একটি সুনামধন্য হাট এই সতিহাট। নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়ক সংলগ্ন হাটটি হওয়ায় এর যোগাযোগ ব্যাবস্থাও অনেক ভালো। প্রতিনিয়ত সতিহাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন পন্য সামগ্রী নিয়ে অাসেন বিক্রেতারা।
মানে ভালো এবং দামে সস্তা হওয়ার কারনে এই হাটে ক্রেতাদের ভীড় থাকে বেশ লক্ষ্যনীয়। অার এই সুযোগে কিছু অসাধু ক্রেতার কারনে সতিহাটের সুনাম নষ্ট হওয়ার উপক্রম হতে চলেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, সতিহাটে কিছু অসাধু ধান ব্যাবসায়ী অাছে যারা ক্রেতা
দের কাছ থেকে ধান কেনার পর ডিজিটাল মেশিনে ওজন করার সময় অভিনব কায়দায় ডিজিটাল প্রতারনার মাধ্যমে প্রতি মণ ধানে প্রায় এক কেজি করে ধান বেশি নিয়ে থাকে।
বাজারে ধানের দাম যাইই হোক না কেনো,অাজ থেকে গত কয়েকবছর অাগে সতিহাটে ধান কেনাবেচা হতো কাঁচি,বাংলা বা পাকি'র ওজন ৩৮ কেজিতে এক মণ।
কিন্তু বর্তমানে অার বাংলা ওজনে ধান বিক্রি হয় না। একেতো ধানের দাম কম,তার মধ্যে অাবার ধানের ওজন বেশি নেওয়া খুবই দু:খজনক।
অত্রবাজার এলাকার অধিকাংশ ধান বিক্রেতা কৃষকরা অশিক্ষিত। চোখ থেকেও যেনো তারা অন্ধ!
অার এই সুযোগে কিছু নামধারী অারৎদারেরা ধান বিক্রেতাদের ঠকিয়ে ধানের ওজন বেশি নিয়ে থাকেন।
শুধু তাই না,ডিজিটাল মিটারে পয়েন্টের হিসেবে ধান ওজন করার সময় কেজির ওজনে দশমিকের ঘরের পরে থাকা অাধা কেজি বা ৭,৮,৯ শ গ্রাম ধানের দাম দেয়া হয় না ধান বিক্রেতাদেরকে।
একসময় ধান বিক্রেতারা ধান বাড়ি থেকে দাঁড়ি পাল্লায় করে ওজন করে নিয়ে অাসতো। পরবর্তিতে ওই প্রাচীন পদ্ধতি বাদ দিয়ে অাধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে ধান ওজন করা কাঁটা ব্যাবহার শুরু হলো।
এর কিছুদিন যেতে না যেতেই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মিটারে ধান কেনাবেচা শুরু হতে লাগলো।যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিতায়
কিছু অারামপ্রিয় ধান বিক্রেতা অাছে যারা বাড়ি থেকে ধান ওজন করে নিয়ে অাসেন না।শুধু তারা ভ্যানঅালাকে ভাড়া দিয়ে ধান বাজারে পাঠিয়ে দেন।
এই সুযোগে বিক্রেতাদের বিংটা, বেভাগা বা অতিরিক্ত ওজনের ধানের দাম দেয়া হয়না।
অাবার টাকার হিসাব করার সময়ও বিংটা বা বেভাগা টাকা যেমন ২,৩,৫,৭ টাকা দেয়া হয় না।অথচ, ধানের খাজনা নেওয়ার সময় কিন্তু ব্যাবসায়ীরা ধান বিক্রেতাদের কাছ থেকে মণ প্রতি ৫ টাকার কম নেয় না।
অাবার, কিছু কিছু ধান ব্যাবসায়ী অাছে যারা বাজার দরের চেয়ে ২,৪,১০,২০ টাকা অতিরিক্ত দামে কেনার প্রলোভন দেখিয়ে ধান ওজনের সময় কারসাজি করে থাকে এবং ধানের দাম না মিটিয়েই ধান চাটিতে ধান ঢেলে নিয়ে টাকা দিতেও কালক্ষেপণ করে থাকে।টাকার দায়ে ধান বিক্রি করে যেমন,হয়রানী-পেরেশানীর শেষ থাকে না।সাধারণ ক্রেতাদের প্রশ্ন অামাদের সাথে এই বৈরিতা কেনো?
প্রতিমণ ধান ক্রয়ের সময় ওজনের চেয়ে বেশি নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সতিহাট জাহিদ ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর, ধানব্যাবসায়ী অাবুল কালাম বলেন অামরা বাজার দরের উপর সবসময়ের জন্য ১০-২০ টাকা বেশি দিয়ে ধান কিনে থাকি।অার তাই অামরা এসব বিংটা ধানের দাম কাওকেই দিই না।বরং অন্যান্য হাটে অামরা প্রতিমণ ধানে এক কেজি অাধা কেজি ধান বেশি নিয়ে থাকি। এটা কোনো ব্যাপার না, অাপনাদের বাড়ির ধান অার অামাদের এটা ব্যাবসা। অাপনারা যদি একটু অাধটু ধান বেশি না দেন তাহলে অামরা চলবো কেমনে? ধানের বস্তার একটা ওজন অাছে না!
অার মিটারে ধান ওজনের ব্যাপারে তিনি কৌশলে জানান যে, ডিজিটাল
অাজ মিটারে চার্জ নেই, একসাথে দুই বস্তা ওজন দেয়া যাবেনা।মূলত: প্রতিবস্তা ধানে ৫,৭,৮,৯শ গ্রাম বেশি নেয়া এটি অস্বাভাবিক কিছু না। মানুষ এমনিতেই দু' এক কেজি ধান বেশি দেয়।
ধান ব্যাবসায়ীদের সাথে প্রতিবাদ করার মতো কোনো ভাষা থাকে না। অার প্রতিবাদ করলেও কোনো উল্লেখযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায় না।
সাধারণ বিক্রেতারা এসব অভিনব প্রতারনা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। যাতে করে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।#
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন