বাবুল আকতার,সাপাহার (নওগাঁ): নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর দলীয় মনোনয়ন নিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা কর্মীদের বেশ দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। অনেক আগে থেকেই দলের হাই কমান্ডে যোগাযোগ রক্ষা করে চললেও এখন মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের নি:শ্বাস নাকের ডগায় উঠেছে। চলতি মাসেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা হতে পারে। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি কিংবা জামায়াতে ইসলামীর কোন প্রার্থীর নির্বাচনে প্রতিদন্দিতার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত এ পর্যন্ত না থাকায় শাসক দলের যে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তিনিই বিনা প্রতিদন্দিতায় চেয়ারম্যান হবেন তাই দলীয় মনোনয়ন পেতে সকলেই এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। সাপাহার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারে আওয়ামীলীগ হতে চেয়ারম্যান পদে এ পর্যন্ত ৮জন মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যো অনেকে উপজেলার সদর সহ শহরের আনাচে কানাচে বিভিন্ন প্রকার শুভেচ্ছার পোষ্টার ব্যানার দিয়ে সাধারণ জনগনের নিকট পরিচিতির জোর চেষ্টা করছেন। শাসক দলের যে ৮ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোন যাচ্ছে তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ্ চৌধুুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগের সংগ্রামী নেতা শামসুজ্জামান, ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী তরুণ নেতা আব্দুল বারী শাহ্ চৌধুরী (বাবু), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক, বর্তমান অন্যতম সদস্য ত্যাগী নেতা মো: এ,কে, রায়হান মাস্টার, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ আলী মাস্টার, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী নার্গিস সরকার এবং সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জনের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী ফজলু, আবু সাঈদ মাস্টার, আজাহার আলী মহরী। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন নির্বাচনে অংশ গ্রহনের ঘোষনা দিয়ে মাঠে রয়েছেন তারা হলেন উপজেলা মহিলা লীগের নেত্রী সুমাইয়া আক্তার তুলি, সাবেক ইউপি সদস্যা অজিফা খাতুন, বেবী আক্তার, মরিয়ম বিবি ও গোয়ালা ইউপির সদস্যা শাহানাজ বেগম। উল্লেখ্য যে গত ২০০৯সালের জানুয়ারী মাসের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ হতে বর্তমান চেয়ারম্যান শামসুল আলম শাহ্ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান হোসেন ভোটের দুই তিন দিন পূর্ব মহুর্ত পর্যন্ত ভোটের মাঠে প্রার্থী হিসেবে স্ব পদে লড়াই করায় বিএনপির তৎকালিন উপজেলা সভাপতি শহিদুল আলম চৌধুরী ভোটে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। এর পর ২০১৪সালের ২৭ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে আবারো আওয়ামীলীগ হতে ওই দুইজন প্রার্থী মনোনয়ন নিতে লড়াই করলে দলীয় ভাবে পরের নির্বাচনে সম্পাদক শাহজাহান হোসেনকে মনোনয়ন দেয়ার কথা বলে শামসুল আলম শাহ্ চৌধুরী দল থেকে একক নির্বাচন করায় বিএনপির সভাপতি আব্দুন নুর কে ৫হাজার ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে হিসেবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতা ও দলের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে অনেকটা আশাবাদী। কিন্তু এবারে নির্বাচনে শাসক দল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৮ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের মনোনয়ন নিতে মরিয়া হয়ে উঠলেও শেষ পর্যন্ত দলের হাই কমান্ড থেকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তারা সবাই মিলে তাকেই মেনে নিয়ে দলের হয়ে কাজ করবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। উপজেলার সাধারণ ভোটারদের মতে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তারা সৎ ও যোগ্য আদর্শবান ব্যক্তিকে এ বার নির্বাচিত করতে চন। এবারে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে সব দিক বিবেচনা করে মনোনয়ন দেওয়া উচিত বলেও অনেকে মন্তব্য করছেন। আবার কেউ কেউ বর্তমান সময়ের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর সদা হাস্যেউজ্জল তরুন নেতা উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আব্দুল বারী শাহ চৌধুরী বাবু কে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান। আবার অধিকাংশ ভোটার ও দলীয় লোকজন ত্যাগী নেতা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন কে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে উপযুক্ত মনে করছেন। বীর মুক্তি যোদ্ধা ওমর আলী মনোনয়নের ব্যাপারে অত্যান্ত আশাবাদী। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক, বর্তমান অন্যতম সদস্য দলের দুর্দিনের কান্ডারী ত্যাগী নেতা মো: এ,কে, রায়হান মাস্টার এবারে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলেও আশা করছেন। এ পর্যন্ত সতন্ত্র কিংবা অন্য কোন দল থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন প্রার্থীর নাম শোনা বা পোষ্টার ব্যানার দেখা যায়নি। অনেকের ধারনা আসন্ন সাপাহার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সব দলের অংশ গ্রহনে প্রতিদন্দিতা পুর্ণ উৎসব মুখর ভাবে ভোট হবে কিনা তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা লক্ষ করা গেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন