আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা: চলছে দেশের প্রধান ফসল ইরি-বোরো মৌসুমের ধান রোপনের ধূম। বর্তমানে নওগাঁর রাণীনগরের কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জমি তৈরি করছেন আবার কেউ বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলছেন। বর্তমানে দম ফেলার ফুরসত নেই উপজেলার কৃষকদের।
উপজেলার কৃষকরা আমন ধান ও সরিষা ঘরে তোলার পর বর্তমানে প্রধান ফসল ইরি-বোরো চাষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। যত দ্রুত পারা যায় ধান রোপনের কাজ শেষ করতে হবে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠেই বর্তমানে একই চিত্র।
বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ, সারের কোন সংকট না থাকা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান রোপনের জন্য জমি তৈরি করতে তেমন একটা বেগ পেতে হচ্ছে না কৃষকদের। এছাড়াও এবার শীতে বীজতলার তেমন কোন ক্ষতি না হওয়ায় ধানের চারার কোন সংকট নেই। সবকিছুই বর্তমানে কৃষকের হাতের নাগালে। তাই উপজেলার প্রতিটি মাঠে মাঠে চলছে শুধু ইরি-বোরো ধান রোপনের মহোৎসব। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠের কাঁদা-জলে ভিজে ধানের চারা রোপনের কার্যক্রম চালাচ্ছে কৃষকরা। বর্তমানে উপজেলার মাঠগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
অফিস সূত্রে জানা, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা। কারণ গত বছর বন্যা না হওয়ার কারণে অধিকাংশ খাল ও বিল শুকিয়ে গেছে যেগুলোতে কৃষকরা ধান রোপন করতে পারবেন। বর্তমানে উপজেলার ১২শতাংশ জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে আর কয়েক দিনের মধ্যেই উপজেলার সবগুলো জমিতে ধান রোপন সম্পন্ন হয়ে যাবে। এবার কৃষকরা জিরাশাইল, ব্রিধান-২৯,৫৮,৬৩,৭৪ এবং কিছু স্থানীয় জাতের ধান রোপন করছেন।
উপজেলার নয়াহরিশপুর গ্রামের কৃষক ইমরান হোসেন বলেন, এবার আমি আগাম জাতের সরিষা তুলে বর্তমানে ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করেছি। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তাই আশা করছি এই আবহাওয়া বর্তমান থাকলে ইরি-বোরো ধানও খুব ভালো।
উত্তর রাজাপুর গ্রামের কলিম উদ্দিন বলেন বর্তমানে সবকিছুই আমাদের হাতের নাগালে রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ যদি পুরো মৌসুমে পর্যাপ্ত পাওয়া যায় তাহলে আমাদের জমিতে সেচ দিতে কোন সমস্যা হবে না। আর জমিতে সেচ, সার ও বালাইনাশক ঠিক মতো দিতে পারলে অবশ্যই ফলন বাম্পার হবে।
খট্টেশ্বর গ্রামের কালীপদ সেন বলেন অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় আমাদের এলাকার বীজতলাগুলো কোল্ড ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত হয়নি। এজন্য বোরো চারা অনেকটাই সহজলভ্য ও সতেজ হয়েছে। তাই ধান রোপনের জন্য চারা নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে উপজেলার কৃষকদের সব সময় ইরি-বোরো ধান রোপনের সকল পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত বছরের তুলনায় রবি ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশে বর্তমানে সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। সব কিছুই কৃষকের হাতের নাগালে রয়েছে। তাই কৃষকরা যদি এই মৌসুমে আমাদের দেওয়া নির্দেশনাগুলো মেনে ইরি-বোরো চাষ করে এবং কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেয় তাহলে এবার আমরা ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।
উপজেলার কৃষকরা আমন ধান ও সরিষা ঘরে তোলার পর বর্তমানে প্রধান ফসল ইরি-বোরো চাষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। যত দ্রুত পারা যায় ধান রোপনের কাজ শেষ করতে হবে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠেই বর্তমানে একই চিত্র।
বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ, সারের কোন সংকট না থাকা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান রোপনের জন্য জমি তৈরি করতে তেমন একটা বেগ পেতে হচ্ছে না কৃষকদের। এছাড়াও এবার শীতে বীজতলার তেমন কোন ক্ষতি না হওয়ায় ধানের চারার কোন সংকট নেই। সবকিছুই বর্তমানে কৃষকের হাতের নাগালে। তাই উপজেলার প্রতিটি মাঠে মাঠে চলছে শুধু ইরি-বোরো ধান রোপনের মহোৎসব। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠের কাঁদা-জলে ভিজে ধানের চারা রোপনের কার্যক্রম চালাচ্ছে কৃষকরা। বর্তমানে উপজেলার মাঠগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
অফিস সূত্রে জানা, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা। কারণ গত বছর বন্যা না হওয়ার কারণে অধিকাংশ খাল ও বিল শুকিয়ে গেছে যেগুলোতে কৃষকরা ধান রোপন করতে পারবেন। বর্তমানে উপজেলার ১২শতাংশ জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে আর কয়েক দিনের মধ্যেই উপজেলার সবগুলো জমিতে ধান রোপন সম্পন্ন হয়ে যাবে। এবার কৃষকরা জিরাশাইল, ব্রিধান-২৯,৫৮,৬৩,৭৪ এবং কিছু স্থানীয় জাতের ধান রোপন করছেন।
উপজেলার নয়াহরিশপুর গ্রামের কৃষক ইমরান হোসেন বলেন, এবার আমি আগাম জাতের সরিষা তুলে বর্তমানে ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করেছি। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তাই আশা করছি এই আবহাওয়া বর্তমান থাকলে ইরি-বোরো ধানও খুব ভালো।
উত্তর রাজাপুর গ্রামের কলিম উদ্দিন বলেন বর্তমানে সবকিছুই আমাদের হাতের নাগালে রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ যদি পুরো মৌসুমে পর্যাপ্ত পাওয়া যায় তাহলে আমাদের জমিতে সেচ দিতে কোন সমস্যা হবে না। আর জমিতে সেচ, সার ও বালাইনাশক ঠিক মতো দিতে পারলে অবশ্যই ফলন বাম্পার হবে।
খট্টেশ্বর গ্রামের কালীপদ সেন বলেন অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় আমাদের এলাকার বীজতলাগুলো কোল্ড ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত হয়নি। এজন্য বোরো চারা অনেকটাই সহজলভ্য ও সতেজ হয়েছে। তাই ধান রোপনের জন্য চারা নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে উপজেলার কৃষকদের সব সময় ইরি-বোরো ধান রোপনের সকল পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত বছরের তুলনায় রবি ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশে বর্তমানে সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। সব কিছুই কৃষকের হাতের নাগালে রয়েছে। তাই কৃষকরা যদি এই মৌসুমে আমাদের দেওয়া নির্দেশনাগুলো মেনে ইরি-বোরো চাষ করে এবং কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেয় তাহলে এবার আমরা ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন