নতুন স্বপ্ন নিয়ে ইরি-বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত আত্রাইয়ের কৃষক

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ): নওগাঁ জেলার খাদ্যশস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত আত্রাইয়ে আমন ধান ঘরে তোলার পর এবার ইরি-বোরো চাষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন কৃষকেরা। আমন ধান কাটা- মাড়াই শেষে বোরোর আবাদ নিয়ে এখন ব্যস্ত চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বীজতলার ক্ষতি হয়নি। উপজেলার প্রতিটি মাঠে মাঠে চলছে এখন শুধু ইরি-বোরো ধান রোপনের মহোৎসব। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠের কাদা-জলে ভিজে ধানের চারা রোপনের কার্যক্রম।
চলতি রবিশস্য মৌসুমে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দেওয়ায় এবং বোরো চাষের পরিবেশ অনুকূলে থাকায় বোরো চাষের পাশাপাশি আলু, গম ও ভোট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে বলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মনে করছেন।
নওগাঁ জেলার খাদ্যশস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত আত্রাইয়ের মাঠগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে নওগাঁ জেলার খাদ্য উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে আত্রাই। এ জন্য বোরো মৌসুমে সেচ কায্যক্রম যথাযথ রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগও রয়েছে তৎপর। সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎঅফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় এক হাজার বিদ্যুৎ চালিত মোটর ও ডিপ রয়েছে। যেগুলো কেবলমাত্র বোরোচাষে সেচ কাজে ব্যবহৃত হয়।
উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক মেহেদি হাসান বলেন, আমাদের এলাকায় প্রতি বছর বন্যার কারণে অনেক ক্ষতি হয়। কিন্তু এবার পুরোটায় বিপরীত। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় আমাদের এলাকায় বীজতলাগুলো কোল্ড ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত হয়নি। এ জন্য বোরো চারা অনেকটাই সহজলভ্য হয়েছে। সেই সাথে ধানের ফলনও বাম্পার হবে বলে আমরা আশাবাদি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন বলেন, কৃষকরা যেন বোরোচাষে কোন প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সর্বাক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছি।
নওগাঁ পল্লা বিদ্যুৎ সমিতি আত্রাই জোনের এজিএম মো: ফিরোজ জামান বলেন, বোরো চাষে কৃষকরা যাতে সার্বক্ষণিক জমিতে পানি রাখতে পারে এ জন্য বিদুৎ বিভাগ সজাগ রয়েছে।
বিশেষ করে আমরা প্রতিদিন রাত ১১টা থেকে ৮টা পর্যন্ত এলাকায় বিদ্যুতের কোন লোডসেডিং থাকবেনা। এ জন্য ওই সময়ের মধ্যেই কৃষকদের সেচপাম্প চালানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কৃষকরা আমাদের পরামর্শ মেনে চললে বোরোর জমিতে পানির কোন সংকট হবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget