মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ: নওগাঁর মান্দায় গলায় ফাঁস দেয়া নাজমা খাতুন (৩৬) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তার সতীন আদরীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর চেয়ারম্যানের মোড় এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নাজমা খাতুন মৈনম ইউপি ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেনের বড় স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার হোসেনের দুই স্ত্রী নাজমা খাতুন ও আদরীকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার দিন সকাল থেকে তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। স্থানীয়রা জানান যে নিহতের স্বামী আনোয়ার হোসেন তার হালবওয়া টাক্টর ঠিক করতে নওহাটা গেছিলেন।
বড় স্ত্রীর আত্মহত্যার খবর ছোট স্ত্রী জানালে তিনি দুপুরে বাড়িতে আসেন। বর্তমানে তিনি পালিয়ে আছেন। নাজমা খাতুনের তিন আখি (১৩), পাখি (৬) এবং ফাতেমা (৪)। তিন মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে বাড়ির বাহিরে খেলাধুলা করছিল। আর বড় মেয়ে আখি এবং মেঝো মেয়ে পাখি ওদের দাদির সাথে গতকাল ফুফু নাসিমার বাড়িতে বেড়ানোর জন্য গিয়েছিলেন।
আজ মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে তারাও বাড়িতে এসে শোকে কাতর। স্থানীয় প্রতিবেশি সাথী জানায় নিহত নাজমা বাড়ির পাশে একজনের বাড়িতে আরবী পড়তে গিয়েছিল। পড়া শেষ করে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে এসে গলায় ফাঁস দেয় বলে নাজমার সতীন চিৎকার করতে থাকে।
তখন প্রতিবেশিরা এসে তাকে মৃত অবস্থায় পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করে। পারিবারিক দ্বন্দের জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
সংবাদ পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহতের বড় ভাই আব্দুল ওয়াহাব বলেন, আমার বোনের তিন মেয়ে। কোন ছেলে সন্তান না থাকায় প্রায় নির্যাতন করা হতো। পরে বোনের কোন অনুমতি না নিয়েই আবার বিয়ে করে ভগ্নীপতি ।
বোনকে স্বামী ও সতিন মিলে মেরে ফেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া শরীরে আঘাতেও চিহ্ন ছিল। এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তিনি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নাজমা খাতুনের সতীন আদরীকে আটক করা হয়েছে।
পারিবারিক দ্বন্দে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাবার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর চেয়ারম্যানের মোড় এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নাজমা খাতুন মৈনম ইউপি ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেনের বড় স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার হোসেনের দুই স্ত্রী নাজমা খাতুন ও আদরীকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার দিন সকাল থেকে তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। স্থানীয়রা জানান যে নিহতের স্বামী আনোয়ার হোসেন তার হালবওয়া টাক্টর ঠিক করতে নওহাটা গেছিলেন।
বড় স্ত্রীর আত্মহত্যার খবর ছোট স্ত্রী জানালে তিনি দুপুরে বাড়িতে আসেন। বর্তমানে তিনি পালিয়ে আছেন। নাজমা খাতুনের তিন আখি (১৩), পাখি (৬) এবং ফাতেমা (৪)। তিন মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে বাড়ির বাহিরে খেলাধুলা করছিল। আর বড় মেয়ে আখি এবং মেঝো মেয়ে পাখি ওদের দাদির সাথে গতকাল ফুফু নাসিমার বাড়িতে বেড়ানোর জন্য গিয়েছিলেন।
আজ মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে তারাও বাড়িতে এসে শোকে কাতর। স্থানীয় প্রতিবেশি সাথী জানায় নিহত নাজমা বাড়ির পাশে একজনের বাড়িতে আরবী পড়তে গিয়েছিল। পড়া শেষ করে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে এসে গলায় ফাঁস দেয় বলে নাজমার সতীন চিৎকার করতে থাকে।
তখন প্রতিবেশিরা এসে তাকে মৃত অবস্থায় পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করে। পারিবারিক দ্বন্দের জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
সংবাদ পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহতের বড় ভাই আব্দুল ওয়াহাব বলেন, আমার বোনের তিন মেয়ে। কোন ছেলে সন্তান না থাকায় প্রায় নির্যাতন করা হতো। পরে বোনের কোন অনুমতি না নিয়েই আবার বিয়ে করে ভগ্নীপতি ।
বোনকে স্বামী ও সতিন মিলে মেরে ফেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া শরীরে আঘাতেও চিহ্ন ছিল। এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তিনি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নাজমা খাতুনের সতীন আদরীকে আটক করা হয়েছে।
পারিবারিক দ্বন্দে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাবার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন