আগামী জুলাই মাস থেকে নতুন মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আইন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, ভ্যাটের হার একক কোনো হার থাকবে না। পণ্যভেদে হার হবে ভিন্ন ভিন্ন। ব্যবসায়ীসহ সব অংশীজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গতকাল শনিবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশসহ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশ দিবসটি পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কাউকে জেলে পাঠানোর জন্য আসিনি। ভালোবাসা দিলে সব পাওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সব ব্যবসায়ী অসৎ নন, আবার সব সরকারি কর্মকর্তা অসৎ নন। সবাই অসৎ হলে এত প্রবৃদ্ধি হতো না।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর সময়ে ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন হবে না। জাপান থেকে পণ্য জাহাজ ওঠানো হলো, দেশে আসতে আসতে শুল্ক হার পরিবর্তন হয়ে যায়, এই ঘটনা আর হবে না। তবে শতভাগ পণ্য স্ক্যান ছাড়া খালাস হবে না।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আধুনিক শুল্ক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে, যা সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে। ইতিমধ্যে শুল্ক বিভাগকে আধুনিকায়নে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শুল্ক কর্মকর্তার কারণে কেউ হয়রানির শিকার হলে শক্ত হাতে দমন করা হবে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টমসে যা হয়েছে, তা নিয়ে শুল্ক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী—যে কেউ দোষী হলে কোনো ছাড় পাবেন না। নৈরাজ্য করলে কেউ ছাড় পাবেন না। ব্যবসায়ীদের মিথ্যা ঘোষণা কোনোভাবেই বরদাশত করব না।’ এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘টাকা পাচারের কিছু ঘটনা আমাদের হাতে এসেছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেব। ব্যবসায়ীদের সঠিকভাবে শুল্ক-কর দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, বিদ্যমান শুল্ক হার সমন্বয় করা উচিত। তাহলে বিতর্ক কম হবে। আবার দেশীয় শিল্পকে রক্ষাও করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, একজন খারাপ ব্যবসায়ীর জন্য যেন ৯৯ জন ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী না হন, তাই শুল্ক-কর দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করা উচিত। ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা দরকার।। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সহজে ব্যবসা করার সুযোগ চান।
ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি জো ওয়ানা বলেন, বাংলাদেশ শুল্ক বিভাগ আধুনিকায়নে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্কার কার্যক্রমে শুল্ক বিভাগ সঠিক পথেই আছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথমবারের মতো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বর্তমান চলমান উন্নয়নকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, শুল্ক কর্মকর্তারা যেন হয়রানি না করেন। এখনো ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভীতি কাজ করে।
অনুষ্ঠানে অন্যবারের মতো পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ডব্লিউসিও ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট’ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বেনাপোল স্থলবন্দর, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল, এফবিসিসিআই, এয়ারলাইন অপারেটর কমিটি অব বাংলাদেশ এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। ওই সব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ১৫ জন শুল্ক কর্মকর্তাকেও সার্টিফিকেট অব মেরিট দেওয়া হয়।। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এনবিআর সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআর কমিশনার আনোয়ার হোসাইন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গতকাল শনিবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশসহ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশ দিবসটি পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কাউকে জেলে পাঠানোর জন্য আসিনি। ভালোবাসা দিলে সব পাওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সব ব্যবসায়ী অসৎ নন, আবার সব সরকারি কর্মকর্তা অসৎ নন। সবাই অসৎ হলে এত প্রবৃদ্ধি হতো না।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর সময়ে ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন হবে না। জাপান থেকে পণ্য জাহাজ ওঠানো হলো, দেশে আসতে আসতে শুল্ক হার পরিবর্তন হয়ে যায়, এই ঘটনা আর হবে না। তবে শতভাগ পণ্য স্ক্যান ছাড়া খালাস হবে না।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আধুনিক শুল্ক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে, যা সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে। ইতিমধ্যে শুল্ক বিভাগকে আধুনিকায়নে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শুল্ক কর্মকর্তার কারণে কেউ হয়রানির শিকার হলে শক্ত হাতে দমন করা হবে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টমসে যা হয়েছে, তা নিয়ে শুল্ক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী—যে কেউ দোষী হলে কোনো ছাড় পাবেন না। নৈরাজ্য করলে কেউ ছাড় পাবেন না। ব্যবসায়ীদের মিথ্যা ঘোষণা কোনোভাবেই বরদাশত করব না।’ এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘টাকা পাচারের কিছু ঘটনা আমাদের হাতে এসেছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেব। ব্যবসায়ীদের সঠিকভাবে শুল্ক-কর দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, বিদ্যমান শুল্ক হার সমন্বয় করা উচিত। তাহলে বিতর্ক কম হবে। আবার দেশীয় শিল্পকে রক্ষাও করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, একজন খারাপ ব্যবসায়ীর জন্য যেন ৯৯ জন ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী না হন, তাই শুল্ক-কর দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করা উচিত। ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা দরকার।। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সহজে ব্যবসা করার সুযোগ চান।
ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি জো ওয়ানা বলেন, বাংলাদেশ শুল্ক বিভাগ আধুনিকায়নে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্কার কার্যক্রমে শুল্ক বিভাগ সঠিক পথেই আছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথমবারের মতো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বর্তমান চলমান উন্নয়নকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, শুল্ক কর্মকর্তারা যেন হয়রানি না করেন। এখনো ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভীতি কাজ করে।
অনুষ্ঠানে অন্যবারের মতো পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ডব্লিউসিও ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট’ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বেনাপোল স্থলবন্দর, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল, এফবিসিসিআই, এয়ারলাইন অপারেটর কমিটি অব বাংলাদেশ এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। ওই সব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ১৫ জন শুল্ক কর্মকর্তাকেও সার্টিফিকেট অব মেরিট দেওয়া হয়।। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এনবিআর সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআর কমিশনার আনোয়ার হোসাইন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন