আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁয় একটি নকল সার কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। শহরের বিসিক সংলগ্ন শালুকা গ্রামে জনৈক জিল্লুর রহমানের গো-ডাউন ভাড়া নিয়ে মাটি দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের সার তৈরী করে বাজারজাত করনের প্রস্তুতি চলছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানতে পারেন যে ঐ গো-ডাউনে কেবলমাত্র মাটিকে বিশেষভাবে বিভিন্ন আকার ও রং দিয়ে নানা রকমের সারের আকার দিয়ে বাজারজাত করনের প্রস্তুতি চলছে। এর প্রেক্ষিতে উক্ত কৃষি কর্মকর্তা প্রথমে গো-ডাউনটিতে তালা লাগিয়ে দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানতে পারেন যে ঐ গো-ডাউনে কেবলমাত্র মাটিকে বিশেষভাবে বিভিন্ন আকার ও রং দিয়ে নানা রকমের সারের আকার দিয়ে বাজারজাত করনের প্রস্তুতি চলছে। এর প্রেক্ষিতে উক্ত কৃষি কর্মকর্তা প্রথমে গো-ডাউনটিতে তালা লাগিয়ে দেন।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সদর উপজেলা নির্বহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল হাই এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম মফিদুল ইসলাম সমন্বয়ে ঐ গো-ডাউনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় সেখান থেকে প্রায় সাড়ে ৪শ বস্তা মাটি, ডাষ্ট করা প্রায় ২৫ মন মাটি, দস্তার রঙে ক্ষুদ্রাকৃতির গোলাকার প্রায় ৩০ মন মাটি, মিক্সার মেশিন, বিভিন্ন আকার ও রং দেয়ার কেমিক্যাল এবং বিভিন্ন কোম্পানীর লেভেল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রিয়া এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ নামের কোম্পানীর ব্র্যান্ডে “নিউ এগ্রো পাওয়ার” নাম দিয়ে এই নকল সারগুলো বাজারজাত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এই প্রত্রাক চক্র।
ঐ গোডাউনের মালিক জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলাধীন কৃষ্ণনগর গ্রামের জনৈক বদর উদ্দিনের পুত্র এদাদুল হক এক মাস আগে এই গোডাউনটি ভাড়া নেয়। এ ব্যপারে একটি লিখিত চুক্তিপত্রও সম্পাদন করেন। এক মাস আগে ভাড়া নিলেও সপ্তাহখানেক আগে থেকে ঐ গো-ডাউনে তার কার্যক্রম শুরু করে।
আদালত গো-ডাউনটি সীলগালা করে দিয়েছে। সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল হাই জানান উক্ত প্রতারক এমদাদুল হককে গ্রেফতারের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা শুরু করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন