সাধারণত কোন খাবার গ্রহণ করার পর আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে গ্লুকোজে রুপান্তরিত করে। এরপর অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, সেটা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে গ্লুকোজকে গ্রহণ করার জন্যে নির্দেশ দেয়। এই গ্লুকোজ শরীরের জ্বালানী বা শক্তি হিসেবে কাজ করে।কিন্তু শরীরে যখন ইনসুলিন ঠিকমতো তৈরি হতে না পারে তখন ডায়াবেটিস হয় এবং এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে।কিন্তু কি কি কারণে ডায়াবেটিস হয়? সাধারণত আমাদের ডায়াবেটিস হওয়ার পেছনে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন অভ্যাস দায়ী।
ব্যায়াম না করা: টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম কারণ হল শারীরিকভাবে নিস্ক্রিয় থাকা অর্থাৎ ব্যায়াম না করা।
নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওজন কমে, স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। শরীর চর্চ্চা বা ব্যায়াম করার মাধ্যমে রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে রখা সম্ভব।
মানসিক চাপ: যে সকল কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস হয় তার মধ্যে একটি হল অত্যধিক মানসিক চাপ। পারিবারিক জটিলতা, অতিরিক্ত কাজের চাপে থাকলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।
নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশল শিখুন। খুব বেশি মানসিক চাপে থাকলে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করুন অথবা লম্বা করে শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়ার অভ্যাস করুন এবং তা প্রতিনিয়ত করার চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া: আমাদের দৈনন্দিন পরিশ্রমের পর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউণ্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঘুম কম হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।
নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এ কারণে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত।
রাতে বেশি খাওয়া: গবেষণা বলছে, রাতে বেশি খাওয়া, খাবার পর পরই ঘুমাতে যাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।
নিয়ন্ত্রণ: এক বেলা পেট ভরে না খেয়ে পরিমানে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে খাওয়া দরকার।
সকালের নাস্তা না খাওয়া: সকালের নাস্তা দিনের খাবারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ডায়াবেটিস রোগী সকালের নাস্তা এড়িয়ে যান তাদের রক্ত শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।
নিয়ন্ত্রণ: বিশেষজ্ঞরা সকালের নাস্তায় ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত ডিম, মাশরুম , টমেটোর মতো কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিকল্প মিষ্টি: ২০১৪ সালে ‘ন্যাচার’ জার্নাল একটি গবেষণা প্রকাশ করে। গবেষণায় বলা হয়, বাজারে যেসব জিরো ক্যালরি নামের বিকল্প চিনি পাওয়া যায় তার প্রায় সবগুলোতেই অতিরিক্ত সোডা পাওয়া গেছে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়।
নিয়ন্ত্রণ: চিনির পরিবর্তে চা বা কফিতে বিকল্প চিনি বা আর্টিফিসিয়াল সুইটনার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।চাইনিজ খাবার: চাইনিজ খাবারে রয়েছে অনেক বেশি ফ্যাট, ক্যালরি, সোডিয়াম, কার্বোহাইড্রেট। যা দেহের সুগারের মাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে অরেঞ্জ, সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ধরণের খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।
নিয়ন্ত্রণ: প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।চিকিৎকরা বলছেন, ডায়াবেটিসের এতো ঝুঁকি থাকার পরেও এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে তাদের অর্ধেকেরও বেশি এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন নয়। তবে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নীতি মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপরোল্লিখিত পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করুন।
ব্যায়াম না করা: টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম কারণ হল শারীরিকভাবে নিস্ক্রিয় থাকা অর্থাৎ ব্যায়াম না করা।
নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওজন কমে, স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। শরীর চর্চ্চা বা ব্যায়াম করার মাধ্যমে রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে রখা সম্ভব।
মানসিক চাপ: যে সকল কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস হয় তার মধ্যে একটি হল অত্যধিক মানসিক চাপ। পারিবারিক জটিলতা, অতিরিক্ত কাজের চাপে থাকলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।
নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশল শিখুন। খুব বেশি মানসিক চাপে থাকলে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করুন অথবা লম্বা করে শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়ার অভ্যাস করুন এবং তা প্রতিনিয়ত করার চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া: আমাদের দৈনন্দিন পরিশ্রমের পর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউণ্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঘুম কম হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।
নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এ কারণে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত।
রাতে বেশি খাওয়া: গবেষণা বলছে, রাতে বেশি খাওয়া, খাবার পর পরই ঘুমাতে যাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।
নিয়ন্ত্রণ: এক বেলা পেট ভরে না খেয়ে পরিমানে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে খাওয়া দরকার।
সকালের নাস্তা না খাওয়া: সকালের নাস্তা দিনের খাবারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ডায়াবেটিস রোগী সকালের নাস্তা এড়িয়ে যান তাদের রক্ত শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।
নিয়ন্ত্রণ: বিশেষজ্ঞরা সকালের নাস্তায় ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত ডিম, মাশরুম , টমেটোর মতো কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিকল্প মিষ্টি: ২০১৪ সালে ‘ন্যাচার’ জার্নাল একটি গবেষণা প্রকাশ করে। গবেষণায় বলা হয়, বাজারে যেসব জিরো ক্যালরি নামের বিকল্প চিনি পাওয়া যায় তার প্রায় সবগুলোতেই অতিরিক্ত সোডা পাওয়া গেছে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়।
নিয়ন্ত্রণ: চিনির পরিবর্তে চা বা কফিতে বিকল্প চিনি বা আর্টিফিসিয়াল সুইটনার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।চাইনিজ খাবার: চাইনিজ খাবারে রয়েছে অনেক বেশি ফ্যাট, ক্যালরি, সোডিয়াম, কার্বোহাইড্রেট। যা দেহের সুগারের মাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে অরেঞ্জ, সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ধরণের খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।
নিয়ন্ত্রণ: প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।চিকিৎকরা বলছেন, ডায়াবেটিসের এতো ঝুঁকি থাকার পরেও এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে তাদের অর্ধেকেরও বেশি এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন নয়। তবে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নীতি মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপরোল্লিখিত পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন