৯ প্রকল্পে সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প পাঁচটি আর সংশোধিত প্রকল্প চারটি।

প্রকল্পগুলোর জন্য ব্যয় হবে প্রায় ১৬ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ১৩ হাজার ৬২০ কোটি, প্রকল্প ঋণ প্রায় ২ হাজার ৫২৭ কোটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘৭০টি মিটার গেজ (এমজি) ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত) (প্রস্তাবিত)’ প্রকল্পে ২ হাজার ৬৫৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৬১৪ কোটি ৯৯ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৪৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। আজকের একনেক সভায় এর মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

বিদ্যুৎ বিভাগের ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ (১৯.৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংসথানসহ)’ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৬৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সরকারি অর্থায়নে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রকল্পটি। আজকের একনেকে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানকল্পে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড স্থাপন (সংশোধিত)’ প্রকল্পে ১ হাজার ৩২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুরোটা সরকারি অর্থায়নের এই প্রকল্প ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। আজকের সভায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়কের ষষ্ঠ কিলোমিটারে ১০৩.৪৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পে ১০২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুনে। এর সময় বাড়িয়ে করা হলো ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

এর মধ্যে নতুন প্রকল্প পাঁচটি। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘কক্সবাজারে লিংক রোড-লাবনী মোড় সড়ক (এম-১১০) চারলেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে ২৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুরোটাই সরকারি অর্থায়নের এই প্রকল্প ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘ডিজিটাল কানেকটিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের জন্য ১৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে এই প্রকল্প ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সৈয়দপুর ১৫০ মেগাওয়াট ১০ শতাংশ সিম্পল সাইকেল (এইচএসডি ভিত্তিক) বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পে ১ হাজার কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩০২ কোটি ৪৭ লাখ, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২১৫ কোটি ৪৭ লাখ এবং ৪৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। এটি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের ‘রংপুর বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র সম্প্রসারণ এবং পুনর্বাসন’ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ১ হাজার ৮৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং ৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হবে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের ‘রাজশাহী বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র সম্প্রসারণ এবং পুনর্বাসন’ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৯১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ১ হাজার ৫৬ কোটি ৪৩ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
লেবেলসমূহ:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget