নওগাঁ-৬ আসনে বিএনপি প্রার্থী আলমগীর কবিরের সংবাদ সম্মেলন

আবু রায়হান রাসেল, নওগা: নওগাঁ-৬ আসন রানীনগর-আত্রাই উপজেলায় নৌকা প্রতীক সমর্থিত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণা বাধা, নির্বাচন ক্যাম্প ভাঙচুর ও গাড়ী বহরে হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রার্থী আলমগীর কবির। বুধবার বেলা ১১টা নওগাঁ শহরের মাষ্টার পাড়া তার বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।


সংবাদ সম্মেল তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় কোন পোষ্টার ও ক্যাম্প নাই। সবগুলো ভাঙচুর ও ছিড়ে ফেলা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের জন্য পোলিং এজেন্ট পাওয়া দুরহ হয়ে উঠেছে। হেলমেটধারী প্রাইভেট বাহিনী যার অধিকাংশ পুলিশের তালিকাভুক্ত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, পুলিশ, র‌্যাব ও প্রাইভেট বাহিনী একত্রে হুমকি ত্রাস মারধর জখম সন্ত্রাস ভাঙচুর গ্রেফতার চালাচ্ছে। এমনকি ভোটের পর পর্যন্ত এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে। নেতাকর্মীরা পুলিশি আতঙ্কে রাতে বাড়িতে থাকতে পারছেনা।


আত্রাইয়ে গণসংযোগ করে ফিরার সময় গত মঙ্গলবার বিকেলে রানীনগরের কাশিমপুর ইউনিয়নে দফাদার মোড়ে গাড়ীবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে একটি গাড়ী ভাঙচুর করে। ঘটনায় বিএনপির আটজন কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে রানীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সুইট, কাশিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম গুরত্বর আহত হলে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষে কথা বলায় আমার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়। আমি এখন হতাশ। মনে হয় দেশে এখন গুন্ডা শাসনই আশঙ্কাজনক ভাবে বড় হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের কোন পরিবেশ নাই। সরকার বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে তা নষ্ট করছে। নির্বাচনরে সুষ্ঠু পরিবেশ আর ফিরে আসবে না। হামলা-মামলা ঘটনায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করাও হলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।

একটি নিরপেক্ষ গ্রহনযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের লক্ষে সরকারের কারচুপি ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স পূরনের নীলনক্সা, সেন্টার দখলের নির্বাচন ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হোক এই কামনা ও সহযোগীতা চান তিনি।


এসময় উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা বিএনপির সভাপতি নাজমুল হক সনি, আত্রাই থানা বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল ইসলাম, শিক্ষক নজরুল ইসলামসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


এসময় নওগাঁ জেলা বিএনপির সভাপতি নাজমুল হক সনি বলেন, জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে নওগাঁ-৪ মান্দা ও নওগাঁ-৬ রানীনগর-আত্রাই আসনের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যা বর্ণনা করার মতো না। প্রতিনিয়ত গ্রেফতার আতঙ্ক চলছেই। আগে রাতে আটক করা হতো। এখন দিনেই আটক বাণিজ্য চলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় দুইশত নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম সেনাবাহিনী নামার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কিন্তু তার উল্টো চিত্র। সেনাবাহিনী প্রধান সড়কগুলো দিয়ে চলাচল করছেন। এলাকার মধ্যে যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা তারা দেখছেন না।


রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আলমগীর কবিরে গাড়িবহরে হামলার ঘটনা জানার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু সেখানে কোন আলামত আমরা পাইনি। বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget