মাহবুবুজ্জামান সেতু,নওগাঁ: চলছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। এবারে দেশবাসী পালন করবে ৪৭ তম মহান বিজয় দিবস।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালী জাতি ।
১৬ ডিসেম্বরে ছিনিয়ে আনে লাল-সবুজের পতাকা।
তাই বিজয়ের দিনে জাতীয় পতাকা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে থাকে।
ওইদিন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ দোকানপাট,হাট-বাজার সর্বত্র পৎ পৎ করে উড়ে লাল সুবজের জাতীয় পতাকা।
এ মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আগমন ঘটে ভ্রাম্যমান পতাকা বিক্রেতার।
তাদেরই একজন নজরুল ইসলাম। বাড়ি ফরিদপুর জেলার,নগরকান্দা উপজেলার বড়নাওডুবি গ্রামে।
সম্প্রতি তার সাথে দেখা মেলে নওগাঁর মান্দা উপজেলার সতীহাট বাজারে ।
রমজান অালীর ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, তিনি একজন বই বিক্রেতা। রাজধানী ঢাকা শহরে তিনি একজন ভ্রাম্যমান বই বিক্রেতা। বই বিক্রি করে লাভের টাকা দিয়ে চলতো তার সংসার।
কিন্তু এবছরই প্রথম ডিসেম্বরের এক তারিখে ঢাকা থেকে ১৬ হাজার ৪শত টাকার বিভিন্ন প্রকারের পতাকা পাইকারি দরে কিনে বিজয়ের মাসে তিনি এই এলাকায় এসেছেন। বর্তমানে তিনি অত্র এলাকার বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পতাকা বিক্রয় শেষে নওগাঁ শহরের গোস্তহাটির মোড়ে অবস্থান করে রাত্রি যাপন করতিছেন।
তিনি জানান, তাদের এলাকার কিছু লোক অাছে যারা অনেক অাগে থেকেই নওগাঁ জেলা শহরে অন্যের বাসায় ভাড়া থেকে বিভিন্ন প্রকারের ব্যাবসার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
তিনি এবং তার এলাকার অারেকজন সহকর্মী শাহঅালম এভাবে পতাকা বিক্রি করে চলেছেন।
তারা দুজনে একসাথে ব্যাবসায়ীক কাজে এসে একই জায়গায় অবস্থান করতিছেন বলেও জানান তিনি।
প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে সাত শ টাকা বিক্রি করেন। প্রতিটি পতাকার বিক্রয় মূল্য এক ফুট সাইজের ২০ টাকা, দেড় ফুট সাইজের মূল্য ৩০-৪০ টাকা, অাড়াই ফুট সাইজের মূল্য ৪০-৫০ টাকা,সাড়ে তিন ফুট সাইজের ৮০-১০০ টাকা,পাঁচ ফুট সাইজের ১২০-১৫০ টাকা এবং ছয় ফুট সাইজেরগুলোর মূল্য ২০০-৩০০ টাকা। এছাড়াও রাবার পতাকা প্রতিটি ১০ টাকা এবং কাঠি পতাকার খুচরা বিক্রয় মূল্য ও ১০ টাকা করে বলে জানা গেছে।
বছরের অন্যান্য সময় বই বিক্রয়সহ বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িয়ে থাকলেও বিজয়ের মাসে এই প্রথম ফেরি করে জাতীয় পতাকা বিক্রি করে তিনি বেশ অাত্মতৃপ্তি পেয়েছেন।
তিনি জানান, পতাকা বিক্রি করতে এসে এলাকাগুলোও ঘুরে দেখা হচ্ছে। বেশ ভালোই লাগতিছে।
কলাও বেচা হচ্ছে, রথও দেখা হচ্ছে; ঠিক তেমনি।
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে বেচাকেনা একটু কম।
অাসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারনে এবারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তেমন কোনো অনুষ্ঠান না হওয়ায় পতাকার চাহিদা কম।
তিনি জানান, অন্যান্য পেশার পাশাপাশি পতাকা বিক্রি করে আয়ের টাকা দিয়ে চলে তার সংসার।#
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন