আতাউর শাহ্, নওগাঁ : নওগাঁ সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির নিরলস প্রচেষ্টার ব্যাতিক্রমী উদ্যোগে ডিজিটাল হাজিরা গ্রহন এবং সেই সাথে, অটোমাটিক মেসিন দ্বারা, ছাত্রীদের স্কুলে আসা যাওয়া বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের অভিভাবকদের ম্যাসেজের মাধ্যমে নিশ্চত করা হয়, শিক্ষাবোর্ডের অনুকরণে অভ্যন্তরীণ ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠান প্রধানের নির্দেশে ছাত্রীদের সকাল ১০টা হতে বৈকাল ৪ঘটিকা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ক্লাস করতে হয় বলে জানা গেছে। শতভাগ উপস্থিত ছাত্রী ও অভিভাবকদের বিশেষ পুরষ্কার দেওয়া হয়। গরীব ও মেধাবী ছাত্রীদের জন্য সু-ব্যবস্থা রয়েছে।
জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত নারী শিক্ষায় অগ্রনীভূমিকা পালনকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নওগাঁ সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল। প্রতিষ্ঠানটির নবম ও দশম শ্রেণীকক্ষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এ.সি) করা হয়েছে। যা সত্যিই একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এমন মহানুভবতা সম্পন্ন শিক্ষক প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই দরকার। কেননা, অত্র প্রতিষ্ঠানের বিনয়ী, মার্জিত এবং অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা ডিজিটাল ক্লাস নেওয়া হয়। এছাড়াও দক্ষ ও প্রশিক্ষণ পাপ্ত শিক্ষক দ্বারা ক্লাস পরিচালনা করা হয়ে থাকে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের প্রধান।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সিসি ক্যামেরা দ্বারা স্কুলের অভ্যন্তরীন বিষয় ও ক্লাস নেওয়া সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে থাকেন। যাতে করে শিক্ষকগণ পূর্ব প্রস্ততি নিয়ে শ্রোণীকক্ষে প্রবেশ করেন এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। উল্লেখ্য যে নওগাঁ সদর উপজেলায় একমাত্র আমাদের বিদ্যালয়ে আইসিটি লার্নিং সেন্টার আছে, যেখানে ছাত্রীদের কে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও শিক্ষকগণ মাসিক ও সপ্তাহিক পরীক্ষার মাধ্যমে যথাযথ ভাবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে থাকে।
নওগাঁ সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহাতাফ হোসেন বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীগণ প্রতিষ্ঠানটিকে স্বর্ণ শিখরে পৌঁছানোর জন্য নিঃস্বার্থে প্রতিনিয়ত নিরলশ পরিশ্রম করে যাচ্ছি। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানটিকে একটা মডেল হিসেবে রুপান্তরিত করার জন্য। স্কুলটিতে বর্তমানে প্লে হতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। উল্লেখ্য, স্কুলটি স্থাপিত হয় ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে। স্কুলটিতে বর্তমানে মোট ১২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন এবং মোট ছাত্রী সংখ্যা ৫২০ জন আছে।
ইতোমধ্যে আমরা অত্রপ্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা এবং এসিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যাবস্থা করেছি। আগামীতেও আরো ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান উন্নত এবং বিগত দিনের সকল পরীক্ষার ফলাফল ও অনেক ভালো হয়েছে। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ জাতীয় করণের জন্য সরকারের একান্ত সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন