বগুড়া-৩ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী
** প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে বেঁচে ওঠেন ** বহু নির্যাতনেও রাজনীতি ছাড়েননি**
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের ভেনলা গ্রামে ১৯৭২ সালের ১৫ই নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন অজয় কুমার সরকার। পিতা মৃত: জ্যোতিষ চন্দ্র সরকার পেশায় ছিলেন একজন কৃষক। ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র থাকাবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগদেন। মেধা আর সাহসী ভ‚মিকায় ১৯৮৮ সালে তিনি চাঁপাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯১ সালে সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও ১৯৯৩ সালে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৯৪ সালে যুগ্ন আহবায়ক হওয়ার পর ১৯৯৫ সালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান। নিষ্ঠা সততা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এই ছাত্রনেতা। ছাত্ররাজনীতি করতে গিয়ে বারবার হোচট খেয়েও কখনো পিছপা হননি। ছাত্ররাজনীতিই তার জিবনে কাল হয়ে দাঁড়ালো। ১৯৯৯ সালে ১৬ই নভেম্বরে গভীর রাতে (পরের দিন ছিলো এমবিএ শেষ সেমিষ্টারের শেষ পরিক্ষা) এমন সময় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা হাতুড়ী,রড,শাবল ও রাইফেলের বাট দিয়ে তিন দফা শারিরিকভাবে নির্মম নির্যাতন করে মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় শুধু তিনি একা নয় ৪০ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আহত হয়েছিলেন। হামলার পর পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা অজয় সরকারের কক্ষের তালা ভেঙে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। নির্মম নির্যতনের ফলে তার বাম পা ভেঙে যায় ও পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্ত শরীরে আঘাত করার ফলে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যায় । শুধূ তাই নয় রাইফেলের বাট দিয়ে গোপনস্থানে (যৌনাঙ্গে) এমনভাবে আঘাত করা হয় ফলে পরপর ২বার অপারেশন করতে হয়। ওই ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে অনেক চিকিৎসার পর বেঁচে উঠেন। পরে ঢাকা পুঙ্গু হাসপাতালের তাৎকালীন ডাক্তার ফারুক রেজা আওলাদ ও ডাক্তার শহীদুল ইসলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যাওয়ার পরামর্শ দিলেও বৈদেশিক চিকিৎসা নিতে না পারায় আজো ফিজিওথেরাপী চিকিৎসা নিয়ে জিবন যাপন করছেন। শুধু তাই নয় ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই দিন আগে ২৮শে সেপ্টেম্বর আওয়ামীলীগের প্রার্থী মেজর জেনারেল গোলাম মওলার পক্ষে নির্বাচনি জনসভায় জামাত-শিবির বিরোধী বক্তব্য দেয়ায় সন্ত্রাসীরা তার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। ওই ঘটনায় তার বাবা ব্রেইন স্টোক করে মারা যায়। মামলা, হামলা,জঙ্গী ও বাংলা ভাইয়ের হুমকিতে পালিয়ে থাকায় বাবাকে সমাধীস্থ করতে পারেননি। এতো কিছুর পরও তিনি রাজনীতি থেকে একধাপও পিছপা হননি। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ও স¦াধীনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। এবার তিনি বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন