ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে এবার চলতি আমন মওসুমে ১৯ হাজার ৭শত ৯০ হেক্টর জমির ধান কাটা মাড়াই মওসুম পুরোদমে শুরু হয়েছে। এবার ধানের ফলন সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে আশাতীত ফলন হয়েছে। ধানের দাম কম থাকলেও ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,এবার এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৭শত ৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। সঠিক সময়ে পানি সেচ,পরিচর্চা ও সার কীটনাশকের প্রয়োগ করার ফলে ধান গাছগুলো লকলকে ও তরতাজার পরিণত হয়েছিল। অধিকাংশ জমিতে সরু চাল হিসেবে পরিচিত জিরাশাইল ধান রোপন করেছে কৃষকগণ। এছাড়া ব্রিধান-৪৭,৪৯,৬২, বিনা-৭,স্বর্ণা-৫,ত্বরা স্বর্ণ জাতের ধান রোপন করেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধান গাছে রোগ বালাই কম এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রম ও কৃষকদের বিভিন্ন সতর্কতা মুলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করায় রোগ বালাই তেমন ছিল না বললেই চলে। বর্তমানে উপজেলার সর্বত্র ধান কাটা মারা মওসুম পুরো দমে শুরু হয়েছে। কৃষকরা এবার ফলন বেশি পেয়ে বেশ খুশি খুশি ভাব লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর গ্রামের কৃষক মো.উজির উদ্দিন বলেন,তার জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান কর্তন করা হয়েছে। একর প্রতি প্রায় ৭৫-৭৮ মণ হারে ফলন হয়েছে। ধানতাড়া গ্রামের কৃষক মো. হাসান আলী
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,এবার এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৭শত ৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। সঠিক সময়ে পানি সেচ,পরিচর্চা ও সার কীটনাশকের প্রয়োগ করার ফলে ধান গাছগুলো লকলকে ও তরতাজার পরিণত হয়েছিল। অধিকাংশ জমিতে সরু চাল হিসেবে পরিচিত জিরাশাইল ধান রোপন করেছে কৃষকগণ। এছাড়া ব্রিধান-৪৭,৪৯,৬২, বিনা-৭,স্বর্ণা-৫,ত্বরা স্বর্ণ জাতের ধান রোপন করেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধান গাছে রোগ বালাই কম এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রম ও কৃষকদের বিভিন্ন সতর্কতা মুলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করায় রোগ বালাই তেমন ছিল না বললেই চলে। বর্তমানে উপজেলার সর্বত্র ধান কাটা মারা মওসুম পুরো দমে শুরু হয়েছে। কৃষকরা এবার ফলন বেশি পেয়ে বেশ খুশি খুশি ভাব লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর গ্রামের কৃষক মো.উজির উদ্দিন বলেন,তার জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান কর্তন করা হয়েছে। একর প্রতি প্রায় ৭৫-৭৮ মণ হারে ফলন হয়েছে। ধানতাড়া গ্রামের কৃষক মো. হাসান আলী
বলেন,তাদের এলাকায় অধিকাংশ জমিতে স্বর্ণা-৫ ধান রোপন করা হয়েছে। একর প্রতি প্রায় ৮০ মণহারে ফলন হয়েছে। ধানতাড়া গ্রামের কৃষক আবুল হাসান বলেন, ধানী গোল্ড ধান একর প্রতি ৮৫ মণ এবং স্বর্ণা-৫ জাতের ধান একর প্রতি ৮০ মণহাওে ফলন ভালো হয়েছে। অন্যান্য বারের তুলনার এবার ধানের ফলন একর প্রতি প্রায় ১৫ থেকে ২০ মণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।বর্তমানে ধামইরহাটের সর্বত্র আমন ধান কেনা বেচা শুরু হয়েছে। প্রতি মণ ধান বাজারে প্রকার ভেদে ৬৩০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা দরে কেনা বেচা চলছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর মাঠে আমন ধানের নমুনা শস্য কর্তন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজা,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ,গণমাধ্যম কর্মী হারুন আল রশীদ ও এলাকার কৃষক-কৃষাণীগন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.সেলিম রেজা বলেন,আবহাওয়া অনুকূল ও ধান গাছকে রোগ বালাই থেকে রক্ষার জন্য কৃষকদের আগাম সর্তকতা হিসেবে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এর সুফল কৃষকরা পেয়েছে। রোগ বালাই তেমন ছিল না বললেই চলে। সঠিক সময়ে পোকা মাকড় দমনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তাছাড়া রাতে শীত ও দিনে রোদের তেজ বেশি থাকায় পোকা মাড়কের আক্রমণ নেই বললেই চলে। তিনি আরও বলেন,প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না থাকায় এ উপজেলায় এবার রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়েছে। হেক্ট্র প্রতি প্রায় সাড়ে ৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন