নওগাঁ (রাণীনগ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধান ক্ষেতের পাশে আলোক ফাঁদের মাধ্যমে ধানের ক্ষতিকর পোকা দমন পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পরিবেশ বান্ধব এই পদ্ধতিটি কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে কৃষি অফিসের উদ্যোগে নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন মাঠের ধান ক্ষেতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই আলোক ফাঁদের আয়োজন করা হচ্ছে।
অফিস সূত্রে জানা, দিন যতই যাচ্ছে ফসলে সার ও বালাইনাশকের ব্যবহার ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকরা বুঝে কিংবা না বুঝে কীটনাশক দোকানদারদের খামখেয়ালীপনা পরামর্শে ফসলের জমিতে সার ও কাটনাশকের ব্যবহার করে আসছেন। এতে করে ফসলের ফলনে যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ভাবে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই কৃষকদের জন্য পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তিগুলো কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ও জনপ্রিয় করার লক্ষে কৃষি অফিস নিয়মিত ভাবে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আলোক ফাঁদ একটি পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি। সন্ধ্যার পর একটি বড় পাত্রে পানির উপর আলো জ্বালিয়ে পোকা-মাকড়ের উপস্থিতি অনুযায়ী ওই ক্ষেতে কোন পোকার উপদ্রব বেশি সেই হিসেবে জমিতে পরিমাণমতো বালাইনাশক প্রয়োগ করে ফসলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। সঙ্গে রক্ষা পাবে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্যও।
উপজেলার খট্টেশ্বর গ্রামের কৃষক আব্দুল বাতেন, রহিম শেখ, আবুল খয়েরসহ অনেকেই বলেন, আগে আমরা আলোক ফাঁদ কি জানতাম না। কিন্তু কৃষি অফিসের উদ্যোগে পরিবেশ বান্ধব এই কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমানে আমরা নিজেরাই ধানের জমির ক্ষতিকারক পোকা চিহ্নিত করে কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে বালাইনাশক ব্যবহার করতে পারছি। এতে করে আমাদের খরচ কম হচ্ছে অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পাচ্ছে। আমরা আলোক ফাঁদের মাধ্যমে খুবই উপকৃত হচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, আধুনিক পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তিগুলো কৃষকদের মাছে পোঁছে দেওয়ার লক্ষে আমরা মাঠ পর্যায়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আলোক ফাঁদ তেমনি একটি আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি। কৃষকরা এইসব প্রযুক্তি ব্যবহার করলে তাদের খরচ যেমন কম হবে তেমনি ভাবে ফলন বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে। আর কৃষকরা এই সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই তাদের ফসলের ক্ষতিকারক পোকা চিহ্নিত করে আমাদের পরামর্শে বালাইনাশক ব্যবহার করে রক্ষা করতে পারবে ফসল। এতে করে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে বলে আমি আশাবাদি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন