মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ: ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষথেকে মান্দা ফেরিঘাটের সেই ট্রাফিক আজাহার এবার এক লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয় উপহার পাচ্ছেন। ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এটি দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।সম্প্রতি নওগাঁ জেলা পুলিশের উদ্যোগে আজাহার আলীকে একটি ইটের তৈরি একটি বাড়ি করে দেওয়া ও প্রতিমাসে রেশন সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।
এছাড়াও জেলা আনছার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি নতুন বাই সাইকেল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা কমান্ড্যান্ট।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান মোবাইল ফোনে মঙ্গলবারে এফডিআর প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজাহারকে নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদগুলো দেখার পর এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।ঢাকার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান স্বেচ্ছাসেবী ট্রাফিক আজাহার আলীকে নিয়ে বিভিন্নভাবে সংবাদ করায় নওগাঁর সংবাদকর্মীদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। আজাহার আলীর সংসারে স্বচ্ছলতা আনয়নের লক্ষ্যেই এফডিআর উপহারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। অচিরেই তাকে ঢাকায় নিয়ে এসে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সেই অনুষ্ঠানেই পারিবারিক সঞ্চয় পত্রটি তুলে দেওয়া হবে তার পরিবারের হাতে। ইতোমধ্যে নওগাঁর পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করছেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মান্দার ফেরিঘাটে বিনা পারিশ্রমিকে দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক আজাহারের বাড়ি তৈরির কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই শুরু করা হবে জানান নওগাঁর পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন।প্রসঙ্গত, সড়ক নিরাপদের লক্ষ্যে ২০ বছর আগে স্বেচ্ছায় ট্রাফিক সেবা শুরু করেন দরিদ্র আজাহার আলী ।প্রথম ৮ বছর তিনি মহাদেবপুর ব্রীজের পাশে ট্রাফিকের কাজ করেছেন।পরবর্তীতে ১২ বছর যাবৎ মান্দা ফেরীঘাট চৌরাস্তার মোড়ে বিনে পয়সায় ট্রাফিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।সম্প্রতি তার এই মহৎ কাজ তুলে ধরে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ পরিবেশন করেন নওগাঁর সাংবাদিকেরা।
জানাগেছে, আজাহার আলী মান্দা উপজেলার লক্ষীরামপুর গ্রামে সড়কের পাশে একটি ছোট্ট মাটির বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
অাজাহার অালী এতোদিনে জীবনের স্বার্থকতা খুঁজে পেয়েছন। ফেরিঘাটে তাকে নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তিনি তার অাবেক অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে কৃতজ্ঞতাবোধ এবং ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,যারা অামার প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অামি তাদের ঋৃণ কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। অামাকে যারা সহোযোগীতা করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে অন্যতম বস্ত্র ও পাঠ মুন্ত্রী মুহা:ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, নওগাঁর পুলিশ সুপার (এসপি) মো: ইকবাল হোসেন, মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুশফিকুর রহমান, সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুল হাসান, মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব অালম প্রমুখ।
তিনি তাদের এবং মিডিয়াকর্মীদের সাধুবাদ জানিয়ে সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন