রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে এসএসসি পাস না করে তৈরি করা (জাল) সার্টিফিকেট দিয়ে দলিল লেখকের লাইসেন্স করে দীর্ঘদিন যাবৎ দলিল লেখার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে সাতজন দলিল লেখক। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ভাবে তাদের কাগজপত্র ৩দিনের মধ্যে যাচাই-বাচাই করার জন্য জেলা রেজিষ্ট্রার নির্দেশ প্রদান করলেও এখনো সেই তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেননি রাণীনগরে কর্মরত সাব-রেজিষ্ট্রার।
অফিস সূত্রে জানা, গত ২৬জুলাই ৪৭২ স্মরক নম্বরযুক্ত একটি নির্দেশনামায় নওগাঁ জেলা রেজিষ্ট্রার রাণীনগর উপজেলায় কর্মরত সাব-রেজিষ্ট্রার বরাবর রাণীনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে কর্মরত অভিযুক্ত দলিল লেখক ৯২ নং সনদধারী মো: রুহুল আমীন, ৮৭ নং সনদধারী মো: সাদেকুল ইসলাম সেলিম, ৭৩ নং সনদধারী মো: মিরাজুল ইসলাম, ৮৫ নং সনদধারী মো: ইলিয়াস, ৭৫ নং সনদধারী মো: এরশাদ আলী, ৯৮ নং সনদধারী মো: আব্দুল মতিন ও ৮৬ নং সনদধারী মো: রুঞ্জু হোসেনেরসহ মোট ৭ জনের শিক্ষাসনদসহ সকল কাগজপত্রাদি জমা নিয়ে যাচাই-বাচাই করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু নির্দেশ পাওয়ার এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো সেই সব দলিল লেখদের বিরুদ্ধে যাচাই-বাচাই সম্পন্ন করতে পারেননি কর্মরত সাব-রেজিষ্ট্রার মো: ইসমাইল হোসেন। অভিযুক্ত দলিল লেখদের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করার কারণে যাচাই-বাচাইয়ের কাজ ধীরগতিতে করা হচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক ও স্থানীয়রা জানান, এই সব ভুয়া দলিল লেখকরা জাল কাগজপত্র দিয়ে সনদপত্র বের করে অবৈধ ভাবে দলিল লেখার কাজ করে আসছে। এতে করে অনেক নিরীহ মানুষ প্রতারিত হয়েছে। এদের কারণে এই পবিত্র রেজিষ্ট্রি অফিসের মান অনেক ক্ষুন্ন হয়েছে। স্থানীয় ও তারা এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা চান।
এব্যাপারে রাণীনগর সাব-রেজিষ্ট্রার মো: ইসমাইল হোসেন বলেন, নির্দেশনামা পাওয়ার পর আমি অভিযুক্ত সাতজন দলিল লেখকে তাদের সকল কাগজপত্রাদি জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করি। কিন্তু সবাই কাগজপত্র জমা দিলেও রুহুল আমীন নামের দলিল লেখক এখনও পর্যন্ত কোন প্রকারের কাগজপত্রাদি আমার কাছে জমা দেয় নাই। রুহুল আমীনের কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে আমি জেলা রেজিষ্ট্রার বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো। এই বিলম্ব হওয়ার কারণে আমি জেলা রেজিষ্ট্রারের কাছ থেকে আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন