মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধিঃ সারাদেশের ন্যায় দেশের দক্ষিন- পশ্চিম সীমান্ত বেনাপোল চলছে ট্রাফিক সপ্তাহ। পুলিশের সাথে স্কুলের ছেলে মেয়েরা যশোর - বেনাপোল মহাসড়কে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে বেনাপোলÑ–যশোর মহাসড়কের দিঘিরপাড় নামক স্থানে বেনাপোল হাইস্কুল ও মরিয়াম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা পুলিশের সাথে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা যশোর থেকে বেনাপোল ও বেনাপোল থেকে যশোর যাতায়াতের সকল ধরনের যানবাহনের কাগজপত্র দেখে। যে সকল গাড়ির কাগজপত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই তাদের গাড়িতে নিয়ম অনুযায়ী বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ মামলা দিচ্ছে।
তবে যশোর থেকে বেনাপোলের দিকে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইনের গাড়ি ছাত্র/ছাত্রীরা দাঁড় করালে কাগজপত্র চাইলে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। স্থানীয় কিছু পরিচিত লোক কাস্টমস কমিশনারের গাড়ি বলে ছাত্র/ছাত্রীদের অনুরোধ করায়ে ছেড়ে দেয়।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মান্নান বলেন এ ভাবে অভিযান চললে সরকার ও রাজস্ব পাবে আর গাড়ির কাগজপত্র ও ঠিক করবে মালিকরা। তিনি বলেন বেলা ১ টা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ যৌথভাবে ২৭ টি গাড়ির মামলা দেয়। এসব গাড়ির ভিতর অধিকাংশ মোটর সাইকেল ও বাস।
বেনাপোল পোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার শরীফ হাবিবুর রহমান বলেন, এ ভাবে মাস খানেক গাড়ির কাগজ পত্র দেখা হবে। কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে শেষ পর্যন্ত সকল মোটরসাইকেল পরিবহন বাস ট্রাকের কাগজপত্র ঠিক হবে।
তবে শিক্ষার্থীরদের শত স্ফুর্ত ভাবে ট্রাফিক সপ্তায় গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করতে দেখা গেছে। বাদ পড়েনি পুলিশের মোটরসাইকেল ও । তারা পুলিশের মোটরসাইকেল দাঁড় করায়ে মানিব্যাগ থেকে কাগজ বের করে কাগজপত্র পরীক্ষা নিরিক্ষা করে। তবে শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে তারা প্রতিটি মোটর সাইকেল চালকের কাগজপত্রের সাথে হেলমেট আছে কি না তা দেখে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, পুলিশ কোন গাড়ির ড্রাইভার মালিককে হয়রানি না করে তাদের কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিয়ম আইন অনুযায়ী ব্যবস্তা নিবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন