প্রতিনিধি নওগাঁ: নওগাঁয় মাদকের মামলায় মো. আলাউদ্দিন (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় দেন। একই আদেশে দÐিত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদÐ দেওয়া হয়।
দÐিত আসামি আলাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার মাধাইপুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার আরও দুই আসামি মোশাররফ হোসেন (৩৫) ও মো. সোহেলকে (২৮) বেখসুর খালাস দেওয়া হয়। দÐিত আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৯ মে গোপন সংবাদের সূত্রে নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিরঞ্জন কুমার জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার চৌপাড়া গ্রামে অভিযান চালায়। পুলিশ সদস্যরা চৌপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে আসামি আলাউদ্দিন, মোশাররফ হোসেন ও সোহেল পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে দেহ তল্লাশীকালে আসামি আলাউদ্দিনের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই নিরঞ্জন কুমার বাদী হয়ে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ এর ১৯(১) ধারায় মামলা করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মজিবুর রহমান আসামি আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদÐ দেন। এছাড়া তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমনা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদÐের আদেশ দেন আদালত। অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের বেখসুর খালাস দেওয়া হয়।
সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী শামসুর রহমান। আসামি আলাউদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী এসএম আব্দুর রহমান, মোশাররফ হোসেনের পক্ষে আইনজীবী সোমেন্দ কুমার কুÐু এবং আসামি সোহেলের পক্ষে আইনজীবী মোফাজ্জল হক মামলাটি পরিচালনা করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন