আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁ জেলায় চলতি রোপা আমন মওসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় শতকরা ১০৯ ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। এদিকে আউশ ধান কর্ত্তনের পর আরও ধান রোপন অব্যাহত রয়েছে। আমন আবাদের পরমিান এ বছর ধার্যকৃত লক্ষমাত্রার থেকে শতকরা ১২০ থেকে ১২ ভাগ অর্জিত হবে বলে কৃষি বিভাগের ধারনা।
কৃষি বিভঅগ এ বছর জেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩শ ৩৮ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫শ ৬৭ হেক্টর ্এবং স্থানীয় জাতের ২২ হাজার ৭শ হেক্টর।
সেখানে ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত জেলার ১১টি উপজেলায় আমন ধানের চারা রোপন করা হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উন্নত ফলনশীল জাতের ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮শ ৮৫ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ৭ হাজার ৫শ ২০ হেক্টর। এ পর্যন্ত আবাদের পরিমান শতকরা ১০৯ ভাগ।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেছেন যেসব জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছে সেসব জমিতে আউশ কেটে চিনি আতপের মত সুগন্ধি ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে। আবাদের পরিমান পরিমান শতকরা ১২০ থেকে ১২২ শতাংশে দাঁড়াবে। এ ক্ষেত্রে তিনি বলেন নওগাঁ জেলায় সাধারনত আমন মওসুমে প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়ে থাকে। কিন্ত গত বছর বন্যায় প্রায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান বিনষ্ট হয়ে যায়। ফলে গত বছর আবাদের পরিমান নেমে আসে ১ লাখ ৬১ হাজার হেক্টরে। স্বাভাবকে কারনে গত ভছরের আবাদ পরের বছর লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে নির্ধারন করা হয়ে থাকে। সেই কারনে চলতি মওসুমে লক্ষামাত্রা কম নির্ধারন করা হয়।
চলতি বছর উপজেলা ভিত্তিক আমন আবাদের নির্ধারিত লক্ষমাত্র্ াহচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৯ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ১৪ হাজার ২শ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৫ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ১১ হাজার ৬শ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ১৮ হাজার ৮শ হেক্টর, পতœীতলা উপজেলায় ২৬ হাজার ৪শ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১৯ হাজার ৫০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ১৪ হাজার ৯শ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ১৪ হাজার ৯শ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ১৬ হাজার ৩শ ৮৩ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১৫ হাজার ৫শ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর।
প্রতি হেক্টেরে গড়ে ২ দশমিক ৬ মেট্রিক টন হিসেবে চলতি বছর চালের আকারে উৎপাদিত হওয়ার কথা ৪ লাখ ১৯ হাজার ২৯৪ দশমিক২০ মেট্রিকটন। যেহেতু আবাদ লক্ষমাত্রার থেকে ২০ থেকে ২২ ভাগ বেশী হচ্ছে সেহেতু চাল উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। সেহেতু চলতি বছর জেলায় প্রায় ৫ লাখ ৪ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন