নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে শুরু হওয়া ট্র্যাফিক সপ্তাহ আরও তিন দিন বাড়িয়ে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। এর আগে গেলো ৫ আগস্ট থেকে শুরু হয় ট্র্যাফিক সপ্তাহ।শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ট্র্যাফিক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমরা এ ট্র্যাফিক সপ্তাহে ব্যক্তি, পেশা, তার অবস্থান নির্বিশেষে সবাইকে এই বার্তা দিতে পেরেছি যে, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের বিবেককে নাড়া দিতে পেরেছে।
তাদের দাবি যৌক্তিক, ন্যায্য। আমরা তাদের চেতনাকে অন্তরে ধারণ করি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ জনদুর্ভোগ দীর্ঘদিন চলতে পারে না। এখানে কর্মজীবী মানুষ নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে, এমনকি তাদের কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে একটা চরম অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি যে, আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে অভিপ্রায় নিয়ে মাঠে নেমেছে, সেজন্য আমরা অবশ্যই তাদের স্যালুট করি।
কমিশনার বলেন, বিশেষ এ ট্রাফিক কার্যক্রমে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার অনিয়মই বেশি ধরা পড়ছে। মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ চালকই ট্র্যাফিক আইন অমান্য করছেন, সঙ্গে রাখছেন না প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও।রাজধানীর ৮টি পয়েন্টে পুলিশকে রোভার স্কাউটের সদস্যরা সহায়তা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, রাস্তা পারাপারে পথচারীদের সহযোগিতার পাশাপাশি নাগরিকদের ট্র্যাফিক আইন মানতে উৎসাহিত করছেন রোভার স্কাউট সদস্যরা।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আইন অমান্য করায় ট্র্যাফিক সপ্তাহে মোট ৫২ হাজার মামলা হয়েছে। লাইসেন্স না থাকায় মোট ১১ হাজার ৪০২ জন চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ফিটনেস না থাকায় ডাম্পিং করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭২টি গাড়ি এবং তিন কোটি টাকার বেশি জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন