মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: ধান-পাটের বদলে আখ চাষে সাফল্য পেয়েছে শার্শা উপজেলার পুটখালী ও বাগআঁচড়া ইউনিয়নের ২০০ কৃষক। উৎপাদনের খরচের তুলনায় অন্তত ৫ গুণ মুনাফার কথা জানিয়েছেন তারা। তবে কিছু ক্ষেতে রোগ-বালাই দেখা দেয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা। সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। উপজেলার পুটখালী ও বাগআঁচড়া ইউনিয়নে বেড়েছে আখ চাষ। ধান-পাটে আশানুরুপ ফলন না পাওয়ায় কয়েক বছর ধরে এই পণ্যের চাষে ঝুকেছেন চাষীরা। নতুন প্রজাতির গান্ডারী ইশ্বরদী ও এসআর-১৬ জাতের আখের ফলন ভালো বলছেন চাষীরা।
উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের আখ চাষী আজগর আলী জানালেন, এক বিঘা জমিতে ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ করে পাওয়া যায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। তিনি প্রতি বছরই আখ চাষ করে থাকেন। চলতি বছর ২ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন ফলনও ভাল হয়েছে।
এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও যাচ্ছে এই আখ। তবে চলতি মৌসুমে অনেক আখ ক্ষেতে পচন ও মাজরা পোকা দেখা দেয়ায় শংকিত চাষীরা।
এই সব পোকা দমনে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে চাষীদের সহযোগীতা দিচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। চলতি বছর শার্শা উপজেলায় ৩০০ বিঘা জমিতে আখের চাষ হয়েছে বলে জানালেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন