আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ: প্রতি বছরের ন্যায় আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নওগাঁর গরু মোটা-তাজাকরণের খামারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাটে কিছু কিছু গরু বিক্রির জন্য নিয়ে গেলেও পুরোদমে শুরু হবে ঈদের কয়েকদিন আগে। বিশেষ করে চাকরীজীবীরা বোনাস পাওয়ার পর হাটে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি হবে বলে খামারীদের ধারনা।
আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে খামারীরা বর্তমানে গরুর বেশি বেশি যতœ নিচ্ছেন। তবে বাজারে গো খাদ্যেসহ ওষধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারীরা উদ্বিগ্ন। কারণ বর্তমানে বিভিন্ন হাটে গরুর দাম তেমন একটা ভালো পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু একটি গরুর পেছনে প্রতিদিন ২শত থেকে ৩শত টাকা খরচ হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে শ্রমিক খরচ। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে যদি সরকার দেশের বাহির থেকে গরু আমদানী না করে তাহলে দেশের খামারীরা কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পাবেন। তা না হলে খামারীদের প্রচুর লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন নওগাঁর খামারীরা। তাই খামারীদের আশা লাভ-লোকসানের কথা মাথায় রেখে সরকার কাজ করবে। তারা জানান এবার নওগাঁয় যে পরিমান গরু আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে তা দিয়েই স্থানীয় চাহিদা পূরন করে অন্যান্য জেলায় চালান করা করা সম্ভব।
আরজি-নওগাঁর সিফাত ডেইরী ফার্মের মালিক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বলেন, আমার খামারে বর্তমানে ৭০টি গরু আছে যা এই ঈদে বাজারে ছাড়বো। একটু লাভের আশায় আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে গরুর যতœ নিচ্ছি। আর সরকার যদি আমাদের কথা না ভেবে বিদেশ থেকে গরু আমদানী করে তাহলে আগামীতে আর খামারীরা গরু মোটা-তাজাকরণ করা ছেড়ে দিবেন। গত বছর বিদেশি গরু আমদানী করার কারণে লোকসান হলেও এবছর একটু লাভের মুখ দেখতে পাবো বলে আশা করছি। তবে গো খাদ্যসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ার কারণে লাভের পরিমাণ একটু কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এই খামারী।
নওগাঁ জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: উত্তম কুমার দাস বলেন, এবার জেলায় ১৯হাজার খামারে ১লাখ ৬০হাজার গরু মোটা-তাজাকরন করা হচ্ছে। জেলায় এখন পর্যন্ত কোন রোগ বালাই গরুতে আক্রমন করে নাই। কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে জেলায় যে পরিমান গরু মোটা-তাজাকরন করা হয়েছে তা স্থানীয় চাহিদা পূরন করে দেশের অন্যান্য জায়গায় চালান করা সম্ভব। আর বিদেশ থেকে গরু আমদানী করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। সরকার যদি বিদেশ থেকে গরু আমদানী না করেন তাহলে এবার খামারীরা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী এই কর্মকর্তা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন