সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার আব্দুল হামিদ ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবির উদ্দীনের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তিকরণসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা। অভিযোগে উল্লেখিত সাবেক কমান্ডার ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডারের বিরুদ্ধে বিগত যাচাই বাছাইয়ে টাকার বিনিময়ে অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে অমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা ও বিভিন্ন দূর্নিতিসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হয়রানি করার কথা উল্লেখ রয়েছে। উপজেলার লাল তালিকা ও গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা এল.কে আবুল হোসেন,জাকের উদ্দিন, জামিলা,আবুল মজিদ,আফতাব হোসেনসহ ২০জন মুক্তিযোদ্ধা আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত একটি অভিযোগ করেন। এসব মুক্তিযোদ্ধারা আরো অভিযোগ করেন, তারা কমান্ডার হওয়ার পর থেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পাইয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের সময় তারা একটি চক্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
আদমদীঘির ডহরপুর গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোজাহারের স্ত্রী অভিযোগ করেন, দির্ঘ্য ২বছর যাবৎ আমার স্বামীর ভাতার টাকা ওরা প্রতিমাসে অর্ধেক নিয়ে বাঁকি অর্ধেক আমাকে দেয় পরে অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতায় এখন ভাতার সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলন করতে পারছি। সান্তাহার তিয়রপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা সোহরারের মেয়ে সেফালি জানান যাচাই-বাছাইয়ের সময় তাদের টাকা দিতে হয়েছিলো। মুক্তিযদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক গভর্নর আলহাজ্ব কছিম উদ্দিন জানান, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নেতৃত্ব থাকায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অসহায়।
অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধারা সাংবাদিকদের বলেন, নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি করে দাপটের সঙ্গে একনায়কত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক কমান্ডার আব্দুল হামিদ ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবির উদ্দীন। তাদের এসব অনিয়মের কারণে অবৈধ মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা অবিলম্বে এই সাবেক কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। যাতে আগামীতে তারা কখনো আর আদমদীঘি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বস্থানে আসনে না পারেন। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবির উদ্দীন বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং সাবেক কমান্ডার আব্দুল হামিদের সাথে যোগাযোগ করে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান বলেন, বিষয়টি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন