ফেসবুক বলছে তারা ভুয়া খবর তাদের প্ল্যাটফরম থেকে সরিয়ে নেবে না। ভুয়া খবর ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করে না বলে মনে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জায়ান্ট এ প্রতিষ্ঠানটি। খবর বিবিসির।ফেসবুক ব্রিটেনে বর্তমানে একটি ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে যার বক্তব্য, ভুয়া খবর আমাদের বন্ধু নয়।
কিন্তু ফেসবুক বলছে, যারা এ প্ল্যাটফর্মে খবর প্রকাশ করছে তাদের একেকজনের “সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি” থাকে। এবং মনগড়া পোস্টগুলো সরানোর অর্থ হবে “মুক্ত বাক-স্বাধীনতার মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক”।পরিবর্তে তারা এটি বলছে, যেসব খবরকে ‘ভুয়া খবর’ বলে মনে হবে এমন পোস্টকে নিউজ-ফিডে কম দেখানো হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল রাশিয়া-এমন তথ্য আসার পর ভুয়া খবর ছড়ানোর ক্ষেত্রে ফেসবুকের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ শুরু হয়।বুধবার নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে, তারা এই সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব দিয়েছে।কিন্তু সিএনএন এর সাংবাদিক অলিভার ডার্সি প্রশ্ন করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইনফোওয়ার্স পেজ এই প্ল্যাটফর্মে রয়েছে ততক্ষণ ফেসবুক কিভাবে দাবি করে যে তারা মিথ্যা খবর ছড়ানোর বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে?ইনফোওয়ার্স হচ্ছে এমন একটি ওয়েবসাইট যারা বিভিন্ন রকম মিথ্যা খবর প্রকাশের জন্য পরিচিত। তারা সরাসরি টকশো প্রচার করে অনলাইনে এবং নয় লাখের বেশি অনুসারী বা ফলোয়ার রয়েছে ফেসবুকে। এর একজন উপস্থাপক এবং ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক হিসেবে পরিচিত অ্যালেক্স জোন্স-এর ইউটিউব গ্রাহক সংখ্যা ২ দশমিক ৪ মিলিয়নের বেশি
তার এই প্ল্যাটফর্ম থেকে স্পষ্টই মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়। যেমন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করা হয় যে, ২০১২ সালে স্যান্ডি হুক স্কুলে গুলির ঘটনা ছিল মার্কিন সরকারের দ্বারা প্রচারিত ভুয়া খবর।ইনফোওয়ার্স সম্পর্কে সিএনএন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ফেসবুক কর্মকর্তা জন হেজম্যান বলেন, আমরা ফেসবুক চালু করেছি এমন একটি জায়গা হিসেবে যেখানে ভিন্ন ভিন্ন মানুষ তাদের বক্তব্য বা মতামত তুলে ধরতে পারে।কোম্পানিটি বলছে, তাদের নিয়ম ভঙ্গ করে না এমন কোন ভুয়া খবর তারা সরিয়ে নেবে না। তবে বানোয়াট খবর মনে হবে যেগুলো, সেগুলোকে নিচু র্যাংকিংয়ে ফেলা হবে।
ফ্যাক্ট চেকাররা মিথ্যা বলে শনাক্ত করেছেন এমন আর্টিকেলকে লাল রং এর সতর্কতামূলক আইকন দিয়ে পরীক্ষামূলক এক পদ্ধতি চালু করেছিল এই ওয়েবসাইটটি।ফেসবুকের সারা সু সাংবাদিকদের বলেন, ভুয়া খবর এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সত্যিকারেই সমস্যার কারণ হতে পারে এবং এটি আমাকেও আহত করছে।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেন, কিন্তু মতামত প্রকাশের একটি মাধ্যম হিসেবে লোকজনকে পোস্ট করার সুযোগ দিচ্ছি আমরা, কিন্তু সেসব খবর দেখানোর জন্য নিউজ-ফিডের একেবারে শুরুতে জায়গা দেবো না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন