তরিকুল ইসলাম জেন্টু,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ ফেনিতে রাজমি¯ী¿র কাজ করতে গিয়েছিলো দুই বন্ধু বিপ্লব (১৭) ও মোশারফ । কাজ শেষ করে মোশারফ বাড়িতে ফিরতে পারলেও বাড়ি ফেরা হলোনা বিপ্লবের। সোমবার বিকেলে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাণীনগর স্টেশন পৌছামাত্র ঘতক ওভার ব্রিজ কেড়ে নিলো বিপ্লবের প্রাণ। বুক খালি হলো বিপ্লবের মায়ের বন্ধু হারালো মোশারফ। সেই ওভারব্রিজ শুধু বিপ্লবের প্রাণ নয় কেড়ে নিয়েছে অনেকেরই প্রাণ খালি করেছে অনেকের মায়ের বুক। কিন্তু এভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় আর কতো মায়ের সান্তানকে হারাতে হবে? এতো জিবনের বিনিময়েও কি রেল কর্তৃপক্ষের টনক নড়বেনা? শুনেছি মৃত্যুও খবর পেলেই কর্তৃপক্ষ মাপযোগ নিয়ে যায়। এই মাপযোগকে এখন এলাকাবাসী লোক দেখানো শান্তনা বলেই অবিহিত করছে। এইতো সেদিনের কথা দিনটি ছিলো বুধবার ২১শে ফেব্রæয়ারী এই দিনে রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনের নিচু এই ওভার ব্রীজের ধাক্কায় ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করার সময় প্রাণ যায় ৪জনের এবং আহত হয়েছিলেন ২ ট্রেন যাত্রী। খবর নিয়ে জানা যায় নিহত ৪জন ছিলো দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড়হাসিমপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গির আলম (২২), একই জেলার পার্বতিপুর উপজেলার চৈতাপাড়া গ্রামের মুনির হোসেন (২২), নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মালিপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আমিনুল ইসলাম বুলবুল (২৯) ও পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার পিমকী এ্যাপ্যারেন্স লি: এর কর্মী আপেল মাহমুদ (২৬)। অপরদিকে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। ওই দিন নিহতরা ট্রেন যোগে সবাই ঢাকা থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। ঘাতক ওই ওভার ব্রীজটি নিচু হওয়ার কারণে মাঝে মধ্যেই এই রকমের দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিন্তু প্রতিকার কি? জানা নেই কারো। এমন দূর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা রেলকর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। যাতে আর কনো মায়ের বুক খালি না হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন