ভোলায় প্রতারনার ফাঁদে প্রবাসীর জমি দখল করে প্রতারকদের মাজার ব্যবসা

রিপোর্ট : ইমাম বিামন: ভোলায় প্রতারনার ফাদে প্রবাসীর জমি দখল করে মাজার ব্যবসা করছে একটি প্রতারক চক্র। ভোলা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে পৌরবাপ্তার স্থায়ী বাসিন্দা আলহাজ্ব আ.ফ.ম. হাফিজুল ইসলাম পিতার একমাত্র সন্তান। হাফিজুল ইসলামের কোন ছেলে সন্তান নেই। মেয়েদের বিবাহ দেয়ার কয়েক বছর পর হাফিজুল ইসলাম অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৱসার জন্য মেয়েদের সাথে আমেরিকায় চলে যান এবং সেখানেই বসবাস করছেন।


এ বিষয় আমেরিকা প্রবাসী আ.ফ.ম. হাফিজুল ইসলাম জানান, আমেরিকা যাবার পূর্বে হাফিজুল ইসলামের প্রতিবেশী মৃত. সুফি হাবিবুর রহমানের দুই সন্তান এ.এম.এম. সুফি আদুদুর রহমান ও সুফি রফিকুর রহমানের কাছে সরল বিশ্বাসে পৌত্রিক সম্পত্তি (১১২ শতাংশ জমি) যাহাতে বসত বাড়ী ও দোকান ঘর দেখা শোনার সহ ভাড়া তোলার দায়িত্ব দিয়ে আমেরিকায় চলে যান। বাড়ীর খবর জানতে আমেরিকায় থাকা কালিন সময় প্রায়ই প্রতিবেশিদের কাছে মুঠোফোনে খরব নিতেন। গত ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ আ.ফ.ম. হাফিজুল তার বাড়ী সংলগ্ন প্রতিবেশিদের সাথে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে জানায় যে, তার পৈত্রিক বাড়ীটি দেখা শোনার দায়িত্বে থাকা এ.এম.এম. সুফি আদুদুর রহমান তার ভাই সুফি রফিকুর রহমান সকল সম্পত্তি দখল করে।সেই সাথে সুফি আবদুর রহমানের ভাগিনা আশফিক রহমানের সহয়তায় বাড়িড় অভ্যন্তরে থাকা পুকুর ভরাট করে ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে সীমানা প্রাচীর করে সকল সম্পত্তি দখল করে দারুল হাবিব নামে একটি মাজার তৈরি করছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমি ২০১৭ সালে আমেরিকা থেকে নিজ বাড়িতে আসি। এসে ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে রক্ষক হিসেবে যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম সেই ভক্ষক এ.এম.এম. সুফি আদুদুর রহমান ও সুফি রফিকুর রহমানের কাছে পুকুর ভরাট, মাজার নির্মানের করার কারন জানতে চাইলে তারা তাদের জমি বলে দাবী করে এবং আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তুই যা করতে পারবি করিস বলে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে আমি এর প্রতিবাদ করলে ভুমি দস্যুরা আমার উপর ক্ষেপে যায় ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি সেখান থেকে ফিরে এসে ভোলা জেলা আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা দায়ের করি (যাহার নম্বর ৬/১৭)। বিবাদীরা আমার নামের স্বাক্ষর ও টিপ সই সম্বলিত একটি দলিল (যাহা ভোলার রেজিষ্ট্রী অফিস কতৃক স্বাক্ষরিত) করে আদালতে প্রদর্শন করে। আদালতে তাদের দলিল প্রদর্শনের পর আমি জানতে পারি তারা আমার নামের মিথ্যা স্বাক্ষর ও টিপসই ব্যবহার করে জাল দলিল করে যাহা আদাঊ আমি জানিনা এবং আমি তাদেরকে বা তাদের কাছে কোন ভাবেই আমার পত্রিক সম্পতি দান অথবা বিক্রয় করি নাই। আমার নামের স্বাক্ষরিত জাল দলিল করার বিষয় জানতে পেরে তাদের জাল দলিলটি বাতিলের জন্য পুনরায় আরেকটি মামলা দায়ের করি। কিছুদিন পর আমি অসুস্থ হলে আমার বড় মেয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করি এবং ভোলা দেওয়ানি আদালতে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেই।মামলার তারিখে আমার মেয়ে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে মেয়ের পেছনে ভুমি দস্যুরা লোক দিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি মুলক আচরন করে আসছে।


এ বিষয় বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, উক্ত মাজারকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে রমরমা ধর্মীয় ব্যবসা, ধর্মের নামে নিরীহ ও সহজ সরল মানুষদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা সেই সাথে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে কুসংস্কার ও ধোকা বাজী, মাজারে বাজানো হচ্ছে উচ্চ স্বরে মাইক, পার্শের মসজিদের মুসল্লীদের নামাজ পড়তে সমস্যা হচ্ছে, এলাকার মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে, তারা স্থানীয় প্রভাবশালী থাকায় সাহস করে কেহ প্রতিবাদ করতে পারছে না।
আরও জানা যায় আলহাজ্ব আ.ফ.ম. হাফিজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় অফিসে মানবাধিকার রক্ষা ও আইনী সহয়তা চেয়ে এ.এম.এম. সুফি আবদুর রহমান, সুফি রফিকুর রহমান ও আশফিক রহমানদের বিরুদ্ধে মানবিক সহায়তা চেয়েছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget