আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁয় আদালতের রায় উপেক্ষা করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন জোরপূর্বক অতিরিক্ত জমি দখল অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইন শৃংখলার চরম অবনতির সম্ভাবন দেখা দিয়েছে। আদিবাসী নেতাদের অনুরোধ সত্বেও তারা উক্ত সম্পত্তির দখল ছেড়ে দিচ্ছে না।
মামলা সূত্রে জানা গেছে সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের জনৈক রমজান আলী ও ইব্রাহীম খলিল গংদের ১ একর ৯১ শতক সম্পত্তির অবস্থান পাশ্ববর্তী ঝিকড়া মৌজায়। ১৯৫০ সালে ক্রয়সুত্রে এই সম্পত্তির মালিক তারা। ১৯৫৬ সালে ঐ সম্পত্তি থেকে ৫৬ শতক সম্পত্তি আদিবাসী লোকজনদের বসবাস করার জন্য মৌখিকভাবে প্রদান করা হয়। সেই থেকে প্রায় ১০টি পরিবার বংশ পরম্পরায় সেখানে বসবাস করে আসছে। ২০০০ সালে মহাদেবপুরের ভীমপুরে তাদের নেতা আলফ্রেড সরেন হত্যার পর আরও বেশ কয়েকটি পরিবার সেখানে এসে জড়ো হয়। তারা আরও ১০ শতক জমি দখল করে জোরপূর্বক বসতি গড়ে তোলে। তাদের প্রথমে মৌখিক জমি দখল না করার অনুরোধ করলে তারা তা অগ্রাহ্য করে। শেষ পর্যন্ত যুগ্ম জেলা জজ তৃতীয় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
দীর্ঘ শুনানী শেষে গত ১০/ ১০/২০১৭ তারিখে প্রদত্ত রায়ে বিজ্ঞ বিচারক ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত সম্পত্তি দখলমুক্ত করে দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এই রায় প্রদানের পর তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। আরও অতিরিক্ত সম্পত্তি দখল করে নেয়ার প্রচেষ্টা চালায়। এরই অংশ হিসেবে জমির মালিকদের রোপিত ফসল উৎপাটন করে নতুন করে বসতি স্থাপন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের উপদেষ্টা ও নেতাদের দ্বারা বাধা দিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না। ফলে জমির মালিক ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে চরম উত্তেজান বিরাজ করছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর কিছু ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন