গাইবান্ধা: চাঁদার টাকা না পেয়ে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় প্রেমিককে আটকে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে।
সোমবার রাতে গণধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে সাদুল্লাপুর থানায় এ মামলা করেন। গত শনিবার রাতে সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের খোদাবক্স গ্রামে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মামলার আসামিরা হলো- সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের খোদাবক্স গ্রামের মোস্তা মিয়া (৩০), মাইন মিয়া (২০), রব্বানি মিয়া (২৪), নাজমুল ইসলাম (৩০) ও সাদেকুল ইসলাম (২২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার বড় ছত্রগাছা গ্রামের আশিকুর রহমানের সঙ্গে গংগা নারায়ণপুর গ্রামের ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
গত শনিবার রাতে আশিকুর রহমান প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে যায়। এ সময় একই ইউনিয়নের খোদাবক্স গ্রামের মোস্তা মিয়া, মাইন মিয়া, রব্বানি মিয়া, নাজমুল ইসলাম ও সাদেকুল ইসলাম তাদের পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোস্তার বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
এ সময় আশিকুরের কাছে থাকা মোবাইলটি নিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় আশিকুরকে ঘরে আটকে রেখে তার প্রেমিকাকে পাশের একটি আখখেতে নিয়ে মোস্তা ও মাইন ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী প্রেমিক-প্রেমিকাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, গণধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী ও আশিকুরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন