বগুড়াঃ বগুড়া পৌরসভার ১৯ নং ওর্য়াড কালিবালা গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রী ২ সন্তানের জননীর হত্যা না আতœহত্যা জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ইফতারের ১০ মিনিট পূর্বে। সরেজমিনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উল্লেখিত গ্রামে গিয়ে জানা গেছে,কালিবালা গ্রামের আফজাল হোসেনের পুত্র মিষ্টার আলী জীবন জীবিকার তাগিদে গত ১০/১২ বছর পূর্বে রোমান (প্রবাসে) দেশে যায়, তার ঘরে সুমি ও নাফসি নামের ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সুমি নামের এক কন্যার গত দেড় দুই বছর পূর্বে বিবাহ হয় এবং নাফসি (১২) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীতে পড়ালেখা করে। মিষ্টার আলী প্রবাসে থাকাকালে রেহেনা বেগম(৩৫) তার দেবর পিন্টু মিয়ার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং গত কয়েকদিন পূর্ব থেকে একই গ্রামের জয়নালের ছেলে রনি’র সাথে রেহেনা বেগম মোবাইলে সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে এবং রনি রেহেনার বাড়িতে যাতায়াত করতো পিন্টু ও তার পরিবার জানতে পেরে রেহেনা উপর নির্যাতন করে আসছিল এ সূত্র ধরে মঙ্গলবার ইফতার পূর্ব মহুর্তে রেহেনা বেগম তার দেবর পিন্টুর বাড়িতে গিয়ে সবার অজান্তে পাকা শয়ন ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আতœহত্যা করে। তার মেয়ে নাফসি তার মাকে অনেক খোঁজাখুজির তার দাদার বাড়িতে পাকা শয়ন ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এসে তাকে নামিয়ে রাখে, নিহত রেহেনার বাম হাতে রনির নাম লেখা রয়েছে যে আমার মৃত্যুর দায়ী রনি। এ ঘটনার পর থেকে শশুড়,শাশুড়ী,দেবর পিন্টু মিয়া নিখোঁজ রয়েছে। সে আতœহত্যা করেছে না হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ পেয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন