ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটের আলতাদিঘী শালবন জাতীয় উদ্যানের সড়কটি সংস্কারের অভাবে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। দির্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ার এলাকাবাসী ও পর্যটককের কে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বর্ষার আগে জরুরীভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কার না করলে জাতীয় উদ্যানে মানুষ আসতে পারবেনা।
জানা গেছে,ধামইরহাট উপজেলা সদর থেকে আলতাদিঘী শালবন জাতীয় উদ্যানের দূরত্ব প্রায় ৫ কি.মি। পুরো রাস্তাটি সরু এবং প্রায় ১০ বছর পূর্বে কার্পেটিং করা হয়েছিল। দির্ঘদিন ধরে রাস্তার কোন সংস্কার না করায় প্রায় ৪ কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং ওঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। মইশড় গ্রামের দিলদার হোসেন, কালুপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিন, জয়জয়পুর গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, রাস্তাটি মেরামত না করায় সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাছাড়া কৃষি প্রধান এ অঞ্চলের কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে তাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ সড়ক দিয়ে কালুপাড়া,আলতাদিঘী, দাদনপুর, খয়েরবাড়ী, মইশড়, জয়জয়পুর, বড় চকগোপাল (আবিলাম) গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। তাছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের লীলভ‚মি ভারত সীমান্তের কোলঘেঁষে অবস্থিত আলতাদিঘী শালবন জাতীয় উদ্যানে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিনিয়ত দেশি-বিদেশী পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাসুরা বনভোজনের উদ্দেশ্যে এ উদ্যানে আগমন করেন। কিন্তু সরু ও থানাখদ্দে ভরা এ রাস্তার কারণে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় তাদের যানবাহন এসব গর্তে আটকা পড়ে যায়। আলতাদিঘী শালবন ২০১১ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষনা করা হয়।
এব্যাপারে উপজেলা বনবিট কর্মকর্তা বৃক্ষরোপনে পঞ্চম বারের মত প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার প্রাপ্ত লক্ষণ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, আলতাদিঘী শালবন জাতীয় উদ্যান ঘোষনার পর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আলতাদিঘী ও শালবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আগমন করেন। এছাড়া দুই ঈদে হাজার হাজার মানুষ এই মনোরম স্থানে বেড়াতে আসেন। কিন্তু রাস্তা সংস্কার না হওয়ার তাদেরকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলী হোসেন বলেন, রাস্তাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বরাবর আবেদন এবং নিবিড় সর্ম্পকায়নের মাধ্যমে মেরামতের মাধ্যমে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রাস্তার দুই পার্শে গাছকাটা শুরু হয়েছে। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২০ হাজার ৫১৫ টাকা ব্যয়ে ৩ কিলোমিটার ৮শত ১৪ মিটার রাস্তার সিলকোট করা হবে। এছাড়া বর্তমানে ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তাটির দুই পার্শে ৩ফুট করে বর্ধিত করা হবে। বর্ধিত অংশে এইচবিবিকরণ করা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন