দেশ থেকে তুরস্কের অর্থায়নে পরিচালত ৬০ ইমাম ও তাদের পরিবারকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে অষ্ট্রিয়া। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্বাট কিকলের বরাত দিয়ে এএফপি শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। অষ্ট্রিয়া সরকার এ ব্যবস্থা গ্রহণকে ‘রাজনৈতিক ইসলামের উপর কঠোর পদক্ষেপ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ভিয়েনায় এক সংবাদ সম্মেলনে অষ্ট্রিয়া জোট সরকারের অংশীদার ডানপনন্থী ফ্রিডম পার্টির কিকল আরও বলেন, আমরা ৬০ ইমাম ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। সব মিলিয়ে দেড়শ ব্যক্তি দেশটিতে বসবাসের অধিকার হারাতে চলেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
ধর্মীয় বিষয়ক কর্তৃপক্ষের তদন্তের পর সাতটি মসজিদও বন্ধ করে দেয়া হবে। সম্প্রতি একটি ছবি প্রকাশ হয়। ফল্টার উইকলিতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ছদ্মেবেশে কিছু যুবক কুচকাওয়াজ করছে, স্যালুট দিচ্ছে, তুরস্কের পতাকা নাড়ছে এবং মৃতদের নিয়ে খেলা করছে। মরদেহগুলো পরে সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয় এবং সেগুলো পতাকা দিয়ে মুড়ে দেয়া হয়।
দেশটির রক্ষণশীল পিপলস পার্টির চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কার্জ হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, সমান্তরাল সমাজ, রাজনৈতিক ইসলাম ও মৌলবাদের ঠাঁই এদেশে হবে না। কিকল জানান, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া ইমামদের বিরুদ্ধে তুর্কিশ ইসলামিক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের (এটিআইবি) যোগসাজশ রয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে অষ্ট্রিয়ার সাথে তুরস্কের সম্পর্ক তিক্ত। গত সপ্তাহে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান কার্যকে আক্রমণ করে বলেন, অসৎ চ্যান্সেলরের সাথে আমাদের একটা সমস্যা রয়েছে। তিনি চারপাশে তার গুরুত্ব ছড়িয়ে রেখেছেন এবং নাটক করছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন