রিপোর্ট : ইমাম বিমান: হবিগঞ্জে সাংবাদিকের পায়ু পথে জলন্ত মোমবাতির গলন্ত ফোটা ফেলে নির্যাতনের প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে সারা দেশের সাংবাদিক মহল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক সহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে প্রতিবাদের ঝড়। নির্যাতনের সংবাদে হবিগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাব সহ সকল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হবিগঞ্জ মডেল থানার প্রধান ফটকে অবস্থান করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারাই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে এ প্রতিবাদ আরো তীব্র রুপ ধারন করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে হবিগঞ্জে চ্যানেল এস'র জেলা প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম জীবনকে মডেল থানা পুলিশ ধরে নিয়ে চোখ বেধে জলন্ত মোমবাতির গলন্ত গরম ফোটা ফেলে রাতভর নির্যাতন ও মারধর করে। রাতভর অমানবিক, পৈচাশিক নির্যাতন ও মারধর করায় সাংবাদিকের শরীরের আঘাতের চিহ্ন সম্বলিত ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ হলে দেশ ব্যাপী সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে।
এরই মধ্যে দেশের সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন "বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম" বিএমএসএফ'র কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা সহ প্রতিবাদ জানিয়ে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি বর্বরতাকে থামনোর আহবান জানিয়েছে। সেই সাথে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সাংবাদিক জীবনকে নিশ্ব:র্তে মুক্তি দাবী জানিয়েছে। আপরদিকে দেশের বিভিন্ন জেলার সাংবাদিকগন তাদের নিজ নিজ আইডিতে নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
প্রসংগত চ্যানেল এস'র হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম জীবনকে থানা পুলিশ ধরে নিয়ে চোখ বেধে থানার ভিতরে রাতভর মোমবাতি জাবালিয়ে গরম গলন্ত মোমের ছ্যাকা দিয়ে রাতভর পৈচাশিক নির্যাতন ও মারধর করেছে থানা পুলিশ। পরের দিন সকালে সাংবাদিক জীবনকে হাসপাতালের চিকিৎসা রেজিষ্টারে গনপিটুনিতে আহতের কথা উল্যেখ করে হাসপাতালে ভর্তি। অপর দিকে পুলিশের অভিযোগ তাদের এক কর্মকর্তার কোমরে থাকা রিভলবার নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল সে! খবর পেয়ে হবিগঞ্জের সাংবাদিকরা থানায় ঢুকতে চাইলে কাউকেই থানায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। এমনকি কাউকে দেখা করতেও দেয়া হয়নি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন