আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সান্তাহার পৌর শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৬/৭ জন বেদে স¤প্রদায়ের মেয়েরা। পরনে ময়লা শাড়ি আর সেলোয়ার কামিজ । কাঠের ছোট বাক্সের মধ্য থেকে সাপের মাথা বের করে আছে। লোকালয় পেলেই মানুষের সামনে এগিয়ে ধরছে সেটি। অমনি ভয়ে চমকে উঠছে অনেকেই। এরপর পথ আগলে দাবী করা হচ্ছে টাকা। চাহিদা মতো টাকা না দেওয়া হলে ছেলেদের সার্ট আর মেয়েদের ওড়না টেনে ধরা হচ্ছে। ছোট কাঠের বাক্সে সাপ নিয়ে চাঁদাবাজি নতুন নয়, কিন্তু বর্তমানে তা চরম পর্যায়ে পৌছাচ্ছে। পথচারী ও শহরবাসী সাপের ভয়ে ও ইজ্জত বাঁচাতে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছে। গত বুধবার সকালে শহরের সোনার বাংলা মার্কেট থেকে উপহার টাওয়ার পর্যন্ত এদের সবচেয়ে বেশি আনাগোনা চোখে পড়েছে। ৬/৭ জনের দল বেঁধে এরা চাঁদাবাজি করছে। লোক বুঝে ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে। আয়েজ প্লাজার সামনে থেকে সান্দিড়া গ্রামের এক কলেজ পড়–য়া ছাত্রের কাছে থেকে সাপের ভয় দেখিয়ে ১০০টাকা হাতিয়ে নিতে দেখা গেছে। প্রথমে টাকা চেয়ে না পেলে সাপ বের করে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। এসব যাযাবর বেদেদের মূল আবাস সাভার ও নাটোরের সিংড়ায়। এসব বেদে মেয়েদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন সর্বনিন্ম তারা ৫/৬’শ টাকা আয় করে। পুরষ ছেলেরা বাড়ি আরাম করে আর স্ত্রীরা শহর চষে বেড়ায়।
এটা তাদের পেশা। আগে বেদে পরিবারের পুরুষ নারী সদস্যরা সাপ খেলা সাপের, ওষুধ বিক্রি, সিঙ্গা লাগানো, বাতের চিকিৎসা দেওয়ার নামে গ্রামের সহজ-সরল মহিলাদের কাছ থেকে টাকা, চাল, মুরগি খাবার আদায় করত।
এখন মানুষ সচেতন হওয়ায় এসব প্রতারণা ব্যবসা ও ভুয়া চিকিৎসা, ওঝাগিরি করতে পারে না। মাঝে মাঝে হঠাৎ করে এসব মেয়েরা ছোট সাপ দেখিয়ে সান্তাহার পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে জোর পূর্বক টাকা আদায় করে থাকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন