এস রহমান সোহেল, ভোলা জেলা: মাত্রাতিরিক্ত গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ভোলার চরফ্যাশন শশীভূষণ,দক্ষিণ আইচা ও দুলার হাট এলাকা বাসীর জনজীবন। সকাল থেকে শুরু গভীর রাত পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কলকারখানাসহ বিদ্যূৎ নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার(৮জুন) বিকেলে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বাড়ছে।
বেলা বারার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। প্রায় অর্ধসিদ্ধ হয়ে ওঠে মানুষের জীবনযাত্রা। দিনে কয়েক ঘন্টাব্যাপী লোডশেডিং দিয়ে শুরু হয় প্রথম ধাপ, সন্ধ্যার পরে দ্বিতীয় ধাপে কয়েকবার লোডশেডিং’র পর শেষবারের মত একটানা কয়েক ঘন্টা গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে বিদ্যূত দেয়া নেয়ার খেলা। তীব্র দাবদাহ যতই তীব্রতর হয়, বিদ্যুৎ বিকল্পহীন মানুষগুলো ততই বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। ছোট পরিসরে বসবাসরত ঘন বসতীর অসহায় মানুষগুলো একমাত্র বিদ্যুৎ নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় পাখা না ঘোরার ফলে বিশেষ করে শিশুরা সর্দি জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে পানির সংকট দেখা দেয়। তখন দুপুরের গোসল সারতে হয় রাতে।
বিশেষ করে ইফতার ও সেহরীর সময়ও লোডশেডিংয়ের কারনে মুসল্লিরা পরতে হয় মারাত্মক বিপাকে।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ছোট বড় শিল্প-কারখানার উৎপাদন, ব্যবসা-বানিজ্য, লেখাপড়া, এমনকি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা । অনেক ব্যবসায়ী বিদ্যূতের এ ভেলকিবাজিতে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে মৎস্য ও বরফকল মালিকরা বিদ্যূৎ বিপর্যয়ে ব্যাপক অর্থ লোকসান দিচ্ছেন। চরফ্যাশন উপজেলায় পল্লী বিদ্যূৎতের প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহক ঘন ঘন লোডসেডিংয়ের পরিত্রান খুজে বেড়াচ্ছেন । এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লোডশেডিং বিরোধী স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন নাগরিক কমিটিসহ অনেকেই।
চরফ্যাশন পৌর শহরের কামাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যূৎ বিতরন কতৃপক্ষের কার্যক্রমে আমরা সাধারন গ্রাহকরা খুবই অতিষ্ঠ। কোন রকমের আকাশে বিদ্যূৎ চমকালে কিংবা একটু বাতাসের চাপ দেখলেই বিদ্যূৎ চলে যায়। শশীভূষণ এলাকার মনির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক বিদ্যূৎখাতকে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার জন্য পল্লী বিদূৎ সমিতির লোকজন উঠেপড়ে লেগেছে।
দক্ষিণ আইচা এলাকার পল্লী চিকিৎসক মিজান বলেন, ঘন ঘন লোডসেডিংয়ে জনসাধারনের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
দুলার হাট বাজারের ব্যবসায়ী রিয়াজ বলেন,মাত্রাতিরিক্ত গরমে দোকানে বসা যাচ্ছেনা, বিদ্যূৎতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি শেষ নাই। বিদ্যূৎ নিয়ে এত বত্তৃতা,প্রতিশ্রæতি তার পরও থামছেনা লোডশেডিং।
চরফ্যাশন পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির এজিএম মনিরুল ইসলাম জানান, মাত্রাতিরিক্ত গরমে কিছু কিছু সময় বিদ্যূতের যে পরিমান চাহিদা বিপরীতে সে পরিমান বিদ্যূৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তিনি বলেন, এছারাও বিভিন্ন সময় গাছ কাটা,যান্ত্রিক সমস্যা ও লাইনে কাজ করার কারনেও লোডশেডিং হয়ে থাকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন