জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল চেয়ে করা আপিলের শুনানি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের চার বেঞ্চে এ শুনানি চলছে। খালেদা জিয়ার পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করছেন এ জে মোহাম্মদ আলী।
এর আগে মঙ্গলবার শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার সকাল থেকে জামিনের পক্ষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এবং জামিনের বিপক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মঙ্গলবার সকালে এ প্রশ্নে প্রথমে শুনানি করেন দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান। পরে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও শুনানি করেন। এরপর খালেদার পক্ষে এজে মোহাম্মদ আলী শুনানি শুরু করলেও অসমাপ্ত থেকে যায়। সেখান থেকেই সকালে শুনানি শুরু করেন তিনি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড হয়। একই সঙ্গে খালেদাপুত্র ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে দণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন। ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।
পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এরপর ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে বলে চার মাসের জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপিল দায়ের করেন।
এ লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হয় ১৮ মার্চ। শুনানি শেষে আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১৯ মার্চ সোমবার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। পরে ১৯ মার্চ আদালত লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন