এম এম হারুন আল রশীদ হীরা, মান্দা (নওগাঁ): নওগাঁর মান্দা উপজেলায় তিনটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ১ হাজার বিঘা জমির ফসল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন । শুধু ধান নয় এর বিষাক্ত গ্যাসে আশপাশের আম, জলপাই, কাঁঠাল ও কলা বাগানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে। লোকালয়ে গড়ে উঠা এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ এবং ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকরা ক্ষতি পূরণ দাবী করেছেন।
উপজেলায় ৩৮টি ইটভাটা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও রেজিষ্ট্রেশন আছে মাত্র ১০টি ইটভাটার। বাঁকী ১৮টি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। গত দুবছরে এ উপজেলায় সাতটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আর যেসব ইটভাটার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা অপরিকল্পিতভাবে লোকালয়ে গড়ে উঠা। তাদের মধ্যে হাতে গোনা দু’একটি ছাড়া আর কেউ কৃষকদের ক্ষতি পুরণ প্রদান করেনি। প্রতি বছরই এ ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলছে। আর এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ব্যাপক হারে এলাকায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী কৃষক সূত্রে জানা যায়, বোরো ধানের ফসলের উপর কৃষকদের সারা বছরের ভরণপোষণ নির্ভর করে। মাঠ ভরা সোনালী ধানের স্বপ্ন দেখছিলেন তারা। আর কয়েকদিন পর বোরে ফসল ঘরে উঠার কথা ছিল। কিন্তু ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসল নষ্ট হওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না। দূর থেকে দেখলে ধানগুলো পেকেছে মনে হলেও ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ধানের গাছ মরে শুকিয়ে ও চিটায় পরিনত হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে এ উপজেলার কৃষকরা তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করলেও ইটভাটার কারণে তার আর সম্ভব হচ্ছেনা।
সম্প্রতি উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের বিজয়পুর মাঠে এমবিসি বিক্স, পরানপুর ইউনিয়নে শিশইল গ্রামে এসএমএস বিক্স ও তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের মলিকপুর ও শ্রীরামপুর মাঠে পিএম বিক্স ভাটার গ্যাস ছাড়ার ফলে এমন ঘটনা ঘটে। ফলে গত এক সপ্তাহে ইটভাটার আশপাশের প্রায় ১ হাজার বিঘা বোরো ফসলি জমির ধানসহ, আম, জলপাই, কাঁঠাল অন্যান্য ফসলাদি পুড়ে নষ্ট হয়েছে। ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত উঠেছে। শুধু ফসলই নয়, বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়ছে এলাকার শিশু এবং বৃদ্ধরা।
পরানপুর ইউনিয়নে শিশইল গ্রামে লোকালয়ে এসএমএস বিক্স তৈরীর পূর্বে তা বন্ধের জন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ফজলুর রহমান ১৩/০৩/১৬ ইং তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া, নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই ইটভাটাটি বন্ধের জন্য এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাগণ। এলাকাবাসীর অভিযোগ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশাসনের সহযোগীতায় এসএমএস বিক্সটি তৈরী করা হয়। আর এ ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ২০১৭ সালে ফসলি জমির ধানসহ অন্যান্য ফসলাদি নষ্ট হয়। কিন্তু তার নায্য ক্ষতিপূরণ আজও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা পাননি।
শিশইল গ্রামের মোশারফ হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন থেকে জমিতে ধানের পাতা ও শীষ কালো আকার ধারন করেছে। গাছে ধানগুলো মরে চিটায় পরিনত হয়েছে। আমার তিন বিঘা জমির ফসল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছ। এছাড়া বিষাক্ত গ্যাসে আশপাশের আম নিচের দিকে পচন ধরে পড়ে যাচ্ছে। কলার বাগান পুড়ে নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
একই গ্রামের ফজির উদ্দিন মৃধা, আজম আলী, মুনছের, ময়েজসহ কয়েকজন ক্ষতি গ্রস্থ কৃষক বলেন, বোরো ধানের উপর আমাদের সারা বছরের ভরনপোষণ নির্ভর করে। গত বছরও এ ভাটার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তার সঠিক ক্ষতি পূরণ পাওয়া যায়নি। আবার এবছরও ক্ষতি হয়েছে। আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। ইটভাটাটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া ও ক্ষতি পূরণের দাবী করেছেন তারা।
কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, ওই ইটভাটাটি আমার বাড়ি থেতে প্রায় ৪০ ফুট দূরে। ভাটাটি বন্ধের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রশাসন মোটা অংকের টাকা খেয়ে ইটভাটা তৈরীতে সহযোগীতা করেছে। ইটভাটার কারণে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। ভাটার কালো ধোয়ায় নিশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে হাপানিয়া রোগীদের কষ্ট বেশি হচ্ছে।
বিজয়পুর গ্রামের কৃষক ওহেদ বক্স পিয়াদা বলেন, আর কয়েকদিন পর ধানগুলো কাটা হতো। প্রায় আট বিঘা জমির ধান সম্পূর্ন পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতি বিঘা আবাদ করতে প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর বিঘা প্রতি প্রায় ২২-২৫ মন ফলন হয়। ফসল নষ্ট হয়ে এখন মাথায় হাত উঠেছে।
মান্দা ইটভাটা মালিক সমিতি সভাপতি মাহবুব আলম চৌধূরী বলেন, ইটভাটা বন্ধের পরও কমপক্ষে ৫-৬ ঘন্টা ফ্যান চালাতে হয়। কিন্তু তা না করায় অসাবধানতাবসতঃ অনেক ইটভাটা থেকে এ গ্যাসটা বিষাক্ত গ্যাসে পরিণত হয়। পরে ভাটার চিমনি দিয়ে এ বিষাক্ত গ্যাস নিগর্ত হয়ে আশপাশের ফসলসহ অন্যান্য ফলের ব্যাপক ক্ষতি করে। ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, প্রায় ১ হাজার বিঘা ফসলি জমির ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। ইটভাটার মালিক পক্ষ থেকে কৃষকদের ক্ষতি পূরণের জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। কৃষকরা যেন আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ না হয় সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। যা ইতিমধ্যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরনীয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এরকম আর ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে ইটভাটার মালিকদের গ্যাস ছাড়ার উপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুশফিকুর রহমান বলেন, প্রায় ১মাস হলো এ উপজেলায় যোগদান করেছি। এ উপজেলায় প্রয়োজনের তুলনায় ইটভাটা অনেক বেশি। প্রায় ৩৮টির মতো। অনেক ভাটাই পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ। যেসব ইটভাটা অনুমোদনহীন শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা যেন ন্যায্য ক্ষতিপূরন পান তার চেষ্টা অব্যহত আছে।
উপজেলায় ৩৮টি ইটভাটা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও রেজিষ্ট্রেশন আছে মাত্র ১০টি ইটভাটার। বাঁকী ১৮টি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। গত দুবছরে এ উপজেলায় সাতটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আর যেসব ইটভাটার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা অপরিকল্পিতভাবে লোকালয়ে গড়ে উঠা। তাদের মধ্যে হাতে গোনা দু’একটি ছাড়া আর কেউ কৃষকদের ক্ষতি পুরণ প্রদান করেনি। প্রতি বছরই এ ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলছে। আর এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ব্যাপক হারে এলাকায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী কৃষক সূত্রে জানা যায়, বোরো ধানের ফসলের উপর কৃষকদের সারা বছরের ভরণপোষণ নির্ভর করে। মাঠ ভরা সোনালী ধানের স্বপ্ন দেখছিলেন তারা। আর কয়েকদিন পর বোরে ফসল ঘরে উঠার কথা ছিল। কিন্তু ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসল নষ্ট হওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না। দূর থেকে দেখলে ধানগুলো পেকেছে মনে হলেও ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ধানের গাছ মরে শুকিয়ে ও চিটায় পরিনত হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে এ উপজেলার কৃষকরা তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করলেও ইটভাটার কারণে তার আর সম্ভব হচ্ছেনা।
সম্প্রতি উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের বিজয়পুর মাঠে এমবিসি বিক্স, পরানপুর ইউনিয়নে শিশইল গ্রামে এসএমএস বিক্স ও তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের মলিকপুর ও শ্রীরামপুর মাঠে পিএম বিক্স ভাটার গ্যাস ছাড়ার ফলে এমন ঘটনা ঘটে। ফলে গত এক সপ্তাহে ইটভাটার আশপাশের প্রায় ১ হাজার বিঘা বোরো ফসলি জমির ধানসহ, আম, জলপাই, কাঁঠাল অন্যান্য ফসলাদি পুড়ে নষ্ট হয়েছে। ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত উঠেছে। শুধু ফসলই নয়, বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়ছে এলাকার শিশু এবং বৃদ্ধরা।
পরানপুর ইউনিয়নে শিশইল গ্রামে লোকালয়ে এসএমএস বিক্স তৈরীর পূর্বে তা বন্ধের জন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ফজলুর রহমান ১৩/০৩/১৬ ইং তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া, নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই ইটভাটাটি বন্ধের জন্য এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাগণ। এলাকাবাসীর অভিযোগ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশাসনের সহযোগীতায় এসএমএস বিক্সটি তৈরী করা হয়। আর এ ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ২০১৭ সালে ফসলি জমির ধানসহ অন্যান্য ফসলাদি নষ্ট হয়। কিন্তু তার নায্য ক্ষতিপূরণ আজও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা পাননি।
শিশইল গ্রামের মোশারফ হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন থেকে জমিতে ধানের পাতা ও শীষ কালো আকার ধারন করেছে। গাছে ধানগুলো মরে চিটায় পরিনত হয়েছে। আমার তিন বিঘা জমির ফসল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছ। এছাড়া বিষাক্ত গ্যাসে আশপাশের আম নিচের দিকে পচন ধরে পড়ে যাচ্ছে। কলার বাগান পুড়ে নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
একই গ্রামের ফজির উদ্দিন মৃধা, আজম আলী, মুনছের, ময়েজসহ কয়েকজন ক্ষতি গ্রস্থ কৃষক বলেন, বোরো ধানের উপর আমাদের সারা বছরের ভরনপোষণ নির্ভর করে। গত বছরও এ ভাটার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তার সঠিক ক্ষতি পূরণ পাওয়া যায়নি। আবার এবছরও ক্ষতি হয়েছে। আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। ইটভাটাটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া ও ক্ষতি পূরণের দাবী করেছেন তারা।
কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, ওই ইটভাটাটি আমার বাড়ি থেতে প্রায় ৪০ ফুট দূরে। ভাটাটি বন্ধের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রশাসন মোটা অংকের টাকা খেয়ে ইটভাটা তৈরীতে সহযোগীতা করেছে। ইটভাটার কারণে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। ভাটার কালো ধোয়ায় নিশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে হাপানিয়া রোগীদের কষ্ট বেশি হচ্ছে।
বিজয়পুর গ্রামের কৃষক ওহেদ বক্স পিয়াদা বলেন, আর কয়েকদিন পর ধানগুলো কাটা হতো। প্রায় আট বিঘা জমির ধান সম্পূর্ন পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতি বিঘা আবাদ করতে প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর বিঘা প্রতি প্রায় ২২-২৫ মন ফলন হয়। ফসল নষ্ট হয়ে এখন মাথায় হাত উঠেছে।
মান্দা ইটভাটা মালিক সমিতি সভাপতি মাহবুব আলম চৌধূরী বলেন, ইটভাটা বন্ধের পরও কমপক্ষে ৫-৬ ঘন্টা ফ্যান চালাতে হয়। কিন্তু তা না করায় অসাবধানতাবসতঃ অনেক ইটভাটা থেকে এ গ্যাসটা বিষাক্ত গ্যাসে পরিণত হয়। পরে ভাটার চিমনি দিয়ে এ বিষাক্ত গ্যাস নিগর্ত হয়ে আশপাশের ফসলসহ অন্যান্য ফলের ব্যাপক ক্ষতি করে। ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, প্রায় ১ হাজার বিঘা ফসলি জমির ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। ইটভাটার মালিক পক্ষ থেকে কৃষকদের ক্ষতি পূরণের জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। কৃষকরা যেন আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ না হয় সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। যা ইতিমধ্যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরনীয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এরকম আর ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে ইটভাটার মালিকদের গ্যাস ছাড়ার উপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুশফিকুর রহমান বলেন, প্রায় ১মাস হলো এ উপজেলায় যোগদান করেছি। এ উপজেলায় প্রয়োজনের তুলনায় ইটভাটা অনেক বেশি। প্রায় ৩৮টির মতো। অনেক ভাটাই পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ। যেসব ইটভাটা অনুমোদনহীন শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা যেন ন্যায্য ক্ষতিপূরন পান তার চেষ্টা অব্যহত আছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন