মো.ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ): নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রতিপক্ষের হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জমজম ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি: এর সভাপতি আবু নৈয়ম মো. মাসুম। শনিবার সকালে মহাদেবপুরের একটি হোটলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু নৈয়ম মো. মাসুম বলেন, জেলার সাপাহার উপজেলার গোপালপুর গ্রামের সহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে নাসির উদ্দিন ১০লক্ষ টাকার বিনিময়ে সাপাহার উপজেলার পাগলার মোড়ে ৬টি দোকান ঘরসহ শিরন্টি মৌজার হাল ০১নং খতিয়ানে হাল ২৩৪১ নং দাগে ৬শতক জমি গত ৩ ফেব্রæয়ারি ২০১৫ আমাকে আদালতের মাধ্যমে পাওয়ার অফ এটোর্নি দেন। তারা উক্ত সম্পত্তি দখল না দেওয়ায় গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ৩ মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়ার লক্ষে নাসির উদ্দিন আমাকে তার নিজ নামীয় ব্যাংক একাউন্টের একটি চেক দেন। যথা সময়ে ব্যাংকে গিয়ে একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় গত ১৮ মার্চ ২০১৫ চেকটি ডিজওনার হয় এবং বিজ্ঞ আদালতে মামলা (মামলা নং ৫৯৬/১৬) করি। নওগাঁর তৃতীয় সাব জজ আগামি ২০ মে উক্ত মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন। আমাকে হয়রানি করার লক্ষে নাসির উদ্দিন গত ৭ মে নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আমার বিরুদ্ধে জমিজমা সংক্রান্ত একটি মিথ্যা অভিযোগ দেন, এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামি ১৪ মে আমাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়ছে। গত ১০ মে নওগাঁর ৬ নং আমলী আদালতে একটি মিথ্যে মামলাও করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে নাসির উদ্দিন ও তার সহযোগিরা গত ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ আগ্রাদ্বিগুন বাসষ্ট্যান্ড থেকে জোরপূর্বক আমাকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে ১০০টাকর ১৫টি ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে সই নেয়। এ ব্যাপারে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ আমি আদালতে ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের মামলা করেছি যা বিজ্ঞ আদালত তদন্ত দিয়েছেন। নাসির উদ্দিন ওই ফাঁকা ষ্ট্যাম্প ব্যবহার করে ৭লক্ষ টাকা দাবি করে সাপহার থানায় একটি জি আর মামলা দায়ের করে। আমাকে নাসির উদ্দিন ও তার সহযোগিরা ওইসব ফাঁকা স্ট্যাম্প ব্যবহার করে একাধিক মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা অভিযোগে জড়ানোর পায়তারা করছে এবং বিভিন্নভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর সুষ্ঠ তদন্ত ও সমাধান কামনা করছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন